কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন, বধূকে কীটনাশক খাওয়ানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

কন্যাসন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে সাগর…

কন্যাসন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ওই গৃহবধূ।

১২ বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রত্না দত্তের সাথে বিয়ে হয়েছিল পানিহাটি নিউ কলোনির বাসিন্দা বাপ্পার। বিয়ে হওয়ার দু’বছর পর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার হতে হয় গৃহবধূ রত্না দত্তকে। স্বামী বাপ্পা দত্তের সেভাবে রোজগার ছিল না। সেটিও ছিল অত্যাচারের অন্যতম কারণ। রত্নাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা বাপেরবাড়ি থেকে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত। আর তাদের দাবি মত কাজ না হলে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলতে চলতে গতকাল সেটা চরম সীমায় পৌছে যায়। গতকাল রত্না দত্তের শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এবং অবশেষে কীটনাশক ফিনাইল জোর করে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূর মা দিপালী কর্মকার ও তাঁর পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ রত্না দত্তকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খড়দহ থানায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় কেন দোষীরা গ্রেফতার হল না এই নিয়ে খড়দহ থানার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।