Weather: অশনির প্রভাব? গরমের চোটে মার্চেই ঘাম ছুটছে রাজ্যবাসীর

মধ্য মার্চেই গরমে হাসফাঁস দশা রাজ্যবাসীর।এখনই যদি এই অবস্থা হয় তবে এপ্রিল-মে মাসে কী হতে পারে, তা ভেবেই ঘাম ছুটছে। আবহবিদদের বক্তব্যও অশনি সংকেত। তাঁরা…

মধ্য মার্চেই গরমে হাসফাঁস দশা রাজ্যবাসীর।এখনই যদি এই অবস্থা হয় তবে এপ্রিল-মে মাসে কী হতে পারে, তা ভেবেই ঘাম ছুটছে। আবহবিদদের বক্তব্যও অশনি সংকেত। তাঁরা জানাচ্ছেন এ বছর রেকর্ড গরমের সাক্ষী থাকতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।

রাজ্যের তাপমাত্রা এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৩ শতাংশ, ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ।

শুধু বাংলা নয়, ভারতের রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের অনেক রাজ্যেই গরম বাড়ছে। IMD-র তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে এভাবেই বাড়বে তাপমাত্রা। বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। আকাশ থাকবে পরিষ্কার। রাজস্থানের কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। উত্তর ভারতের অনেক জায়গায় গরম বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রার এহেন বৃদ্ধির জন্য দায়ী অ্যান্টি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল ও একটি উচ্চচাপ অঞ্চল তৈরি হয়। উচ্চ-চাপের কারণে, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত গরম বায়ু প্রবাহিত হয়। এর আর্দ্রতাও কম থাকে। উষ্ণ বায়ু উচ্চচাপ এলাকা থেকে নিম্নচাপ এলাকার দিকে চলে যায়। ফলে তাপমাত্রা বাড়ে।