সিঙ্গুর (singur) পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে দলীয় তালিকায় নাম ছিল TMC নেতা দুধকুমার ধারার। মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, দলের প্রতীকই পাননি তিনি। এ নিয়ে দুধকুমারের গলায় যেমন আক্ষেপের সুর। মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন হুগলির (Hooghly) টিএমসি নেতা।
জানা যাচ্ছে, দুধকুমারের আসনে যিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও সিঙ্গুর জমি আন্দোলনেরই অন্যতম আরেক মুখ তথা হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। তবে দুধকুমারের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ এই মানিক থাকায় কারণে জেলা পরিষদের টিকিট দেয়নি দল। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট পেয়েছেন।
দুধকুমার খোলা চিঠিতে প্রশ্ন করেছেন, ২০০৩ সাল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কাজ করার পরও কেন তিনি টিকিট পেলেন না? দুধকুমারের এই পোস্ট শোরগোল ফেলেছে বিভিন্ন মহলে।
ফেসবুকে দুধকুমার ধাড়া লেখেন, “এই নির্বাচনে আমাকে বেড়াবেড়ী পিএস ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়। সেই মতো নমিনেশন জমা দিই। কিন্তু জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। কারণ জানতে বেচারাম মান্নার কাছে যাই।” এই ঘটনায় মানসিক যন্ত্রণায় দুধকুমার। পোস্টের শেষ লাইনে লিখেছেন, ‘এত বড় অপমান সহ্য করতে পারছি না’।
মানিক দাসের দাবি, ‘উনি টিকিট পেয়েছিলেন তা আমার জানা ছিল না। আগে থেকে কেউই জানত না, কে কোথায় টিকিট পাবে। দল যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে। আমিও ভেবেছিলাম জেলা পরিষদে টিকিট পাব কিন্তু দল দেয়নি। তাতে আমার কিছু বলারও নেই।’
