উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬ জন পরীক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ রুখতে এবছর প্রথমবার মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফলপ্রকাশ হবে মে মাসে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ, ২০২৫) সভাপতি উত্তরপাড়া থেকে চন্দননগর পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সংসদের সম্পাদক প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও জেলা পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শুভেন্দু গড়াই। এদিন অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। তিনি উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, কোন্নগর হাই স্কুল, শ্রীরামপুর আখনা গার্লস হাই স্কুল, ভদ্রেশ্বর ধর্মতলা গার্লস হাই স্কুল এবং চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দির পরিদর্শন করেন।
চিরঞ্জীব জানান, রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে তিনি দেখেছেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। নবম দিনে হুগলির পাঁচটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। তিনি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “হুগলিতে পরীক্ষা টিম ভালো কাজ করেছে।”
এবছর নিরাপত্তায় নতুন পদক্ষেপ হিসেবে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবু কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল ধরা পড়েছে, যার জন্য ৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সভাপতি জানান, “মোবাইলের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। এটি আমাদের বড় সাফল্য।”
এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩-এ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৫.৬৫ লক্ষ, রেজিস্ট্রেশন ছিল ৫.৫ লক্ষ, এবং এনরোলমেন্ট ৫.০৯ লক্ষ। ২০১৭-তে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় বয়স সমন্বয়ের কারণে অনেকে বাদ পড়েছিল। পোস্ট-কোভিড প্রভাবও কাজ করেছে।
প্রিয়দর্শিনী মল্লিক জানান, রাজ্য সরকারের প্রগতিশীল নীতি, কন্যাশ্রী প্রকল্প এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”