রামনবমীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষে বাংলার রাজনীতি তোলপাড়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো রাজ্যের পক্ষে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (central forces ) চাওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা, ব্যারাকপুর ও হুগলিতে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিরাট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তার ধারে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। বিরাট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে আকাশপথে নজরদারি। এরই মাঝে ঘুসুড়ি থেকে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল জিটি রোড ধরে সালকিয়া পৌঁছয়। যেটা হাওড়া ব্রিজ হয়ে কলকাতা বড়বাজাড়ে উপস্থিত হবে।
তবে রামনবমীর ঘটনার পর থেকে যেভাবে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া শিবপুর, তা এখন অনেকটাই শান্ত হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি ওই এলাকায় কোনও মিছিল করা যাবে না। সাফ নির্দেশ হাইকোর্টের। এর পাশাপাশি ব্যারাকপুর ও হুগলিতে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। সারা দিন ধরেই চলবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ।
আদালতের নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মিছিলে ১০০ জনের বেশী জমায়েত করতে পারবে না। রামনবমীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগেই রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর। দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে ভাঙচুর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনা দেখা দেয় হুগলির রিষড়াতেও। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আহত হন একাধিক। দুটি ঘটনায় প্রায় ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আগে থেকেই সতর্কতা দেখা গেল একাধিক এলাকায়।