শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি। শাড়ির মধ্যেই রামের জীবনী। নাম- রামায়ণ শাড়ি (Ramayana Saree)। এই শাড়ি নিয়েই অযোধ্যায় পাড়ি দিলেন তাঁত শিল্পী পুলক রায়
নদিয়ার রাণাঘাটের মাঠপাড়ার বাসিন্দা পিকুল রায়। পেশায় হস্তচালিত তাঁত শিল্পী। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিল্কের সুতোয় সূক্ষ্ম কাজের মাধ্যমে হস্তচালিত তাঁতে বুনেছেন আস্ত একটা শাড়ি, নাম দিয়েছেন রামায়ণ। শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন রামের বনবাস থেকে রাম রাবণের যুদ্ধ হয়ে অযোধ্যায় ফিরে রামের অভিষেক পর্যন্ত। অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্য ফুটে উঠেছে তার এই শাড়িতে যা বাংলার হস্তচালিত তাঁত শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।
শাড়িটি দেখার পর অনেকেই কিনতে চেয়েছেন। কিন্তু পিকুল রায় শাড়িটি বিক্রি করতে নারাজ। তার ইচ্ছা ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে উপহার হিসেবে সশরীরে উপস্থিত থেকে শাড়িটি উপহার দেবেন। বাংলার উপহার হিসেবে শাড়িটি প্রদর্শিত হোক অযোধ্যার রাম মন্দিরে।
এই লক্ষ্যেই দাদা অনন্ত রায়ের সঙ্গে ট্রেনে চেপেছেন পুলক। গন্তব্য অযোধ্যা। আর এই বাসনা নিয়েই তিনি এবং তার দাদা অনন্ত রায় অযোধ্যা যাওয়ার জন্য ট্রেনের রিজার্ভেশন টিকিট না পেয়েও জেনারেল কম্পার্টমেন্টে উঠে বসলেন। গন্তব্য অযোধ্যা।