রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানের আগে জিটিএ নির্বাচন (GTA Election) নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সাফ জানিয়ে দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। সেইমতো সোমবার থেকে পাহাড়ে শুরু হল বিমল ব্রিগেডের রিলে অনশন। পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকার কারণে চৌরাস্তায় অনশনের অনুমতি মেলেনি। তাই সিংমারিতে দলীয় কার্যালয়ে শুরু এই কর্মসূচি।
সূত্রের খবর, দু’দিন অনশন করবেন যুব নেতৃত্ব। সেখানে কোনও উত্তর না মিললে প্রতিকী অনশনে বসবেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা । তারপরও যদি কেন্দ্র বা রাজ্য পদক্ষেপ না করে তবে আমরণ অনশনে বসবেন গুরুং। সমাধানের আগে কোনওভাবেই জিটিএ নির্বাচন হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
গত পরশু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে বিমল গুরুং জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালের চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী সমস্যার সমাধান চাইলেন বিমল গুরুং। সেইসঙ্গে দাবী করলেন আরও বেশী ক্ষমতার। উত্তরবঙ্গের ৩৯৬টি মৌজাকে জিটিএ’র অধীনে আনার দাবিও রেখেছেন তিনি। এখন গুরুংদের বক্তব্য ২০১১ সালে রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এখনও অবধি তার কিছুই পালন করেনি। সেইস্মস্ত ক্ষতা জিটিএ এর হাতে তুলে দিলে তবেই নির্বাচন হবে বলেও দাবী গুরুংয়ের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চান তিনি।
গত পরশু দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিমল গুরুং। সেখানেই আমরন অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দেন বিমল গুরুং। শোনা যাচ্ছে, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই হতে পারে নির্বাচন। কিন্তু সেটা চাইছেন না বিমল গুরুংরা।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়েছেন, দলের সুপ্রিমো বার্তা দিয়েছেন চৌরাস্তায় অনশনের জন্য। তবে সংশ্লিষ্ট দফতর বন্ধ থাকায় চৌরাস্তায় অনশন করার অনুমতি আজ মেলেনি। পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান বা গোর্খাল্যান্ড এই দাবি আমরা করছি না। আমরা চাই শিলিগুড়ি, তরাই এবং ডুয়ার্সকে জিটিএ-র অন্তর্গত করা হোক। ২০১১ সালে জিটিএ নিয়ে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই হিসাবে সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হোক। সমস্ত দফতর জিটিএ-কে হস্তান্তর করা হোক। রাজ্য সরকার যদি তা না মানে তা হলে দলের সুপ্রিমোর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আমরণ অনশন করব। আজ পাঁচ জন অনশনে বসেছেন। আগামিকাল অন্য পাঁচ জন অনশন করবেন। আপাতত রিলে অনশন চলবে।