অভিষেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মুখ্যসচিবের কাছে আর্জি রাজ্যপালের

প্রকাশ্য জনসভা থেকে এক জন সাংসদ এক জন বিচারপতিকে আক্রমণ করেছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যে বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। সাংসদের…

jagdeep dhankar

প্রকাশ্য জনসভা থেকে এক জন সাংসদ এক জন বিচারপতিকে আক্রমণ করেছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যে বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। সাংসদের এ হেন মন্তব্য নিন্দনীয়। নাম না করে এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্যপালের এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহল সরগরম। রাজ্যপাল বলেছেন বিচারপতিকে আক্রমণ করে নিজের সীমা অতিক্রম করছেন সাংসদ।

শনিবার হলদিয়ার জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, আমার বলতে লজ্জা লাগে। কিন্তু বিচারব্যবস্থায় এক শতাংশ এমন আছেন, তল্পি বাহকের কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছেন। আপনার যদি মনে হয়, এই সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেবেন, ক্যামেরার সামনে দু’হাজার বার এই কথা বলব।

অভিষেক আরও বলেন, খুনের মামলার তদন্ত আটকে দিচ্ছে। শুনেছেন কোনও দিন! আদালত চাইলে নিরাপত্তা দিতে পারে। আদালতের অধিকার আছে। কিন্তু খুনের মামলার তদন্ত স্থগিত করে দিতে পারেন না আপনি।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সরব হলেন। নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সাংসদ হিসেবে নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন উনি।

অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে সমালোচনায় সরব হন বিরোধীরা। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন, বালখিল্য মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার নেই আমরা। আমরা গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। ভারতে সবকিছু সংবিধানকে সামনে রেখে পরিচালিত হয় আইন-আদালত সবকিছু। আমরা জনপ্রতিনিধির এবং ভারতের নাগরিকরা তা মেনে চলতে বাধ্য। সংবিধানই গণতন্ত্র বজায় রাখার জন্য আইন, প্রশাসন এবং বিচারব্যবস্থার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেই বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করা ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করি আমি।

সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, অভিষেক এবং তার স্ত্রী কয়লাপাচার মামলায় আদালতের কাছ থেকে রক্ষাকবচ না পেয়েই এই কথা বলছেন। বিদেশে যে বিপুল অর্থ রয়েছে তা ধরা পড়ে যেতে পারেন ভেবেই এই মন্তব্য করছেন।