ভাঙড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজ্যপাল, কথা বললেন স্থানীয়দের সাথে

ভাঙড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সিভি আনন্দ বোস। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের…

ভাঙড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সিভি আনন্দ বোস। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান, এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখা ছাড়াও, ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসে যান রাজ্যপাল। সেখানে ব্লক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন।

   

রাজ্যপালের ভাঙড় সফরের মধ্যে স্পটে দেখা যায়নি কোনও শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে। রাজ্যপালকে পরিস্থিতি ব্রিফ করেন এসআই পদমর্যাদার অফিসার।

চারিদিকে পড়ে রয়েছে বোমা, পোড়া গাড়ি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরু পশ্চিমবঙ্গেই হবে।’

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে চেনা হিংসার ছবি রাজ্যজুড়ে। মনোনয়নপর্বে দেদার অশান্তি ছড়াল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে, চলেছে গুলি।

ISF, তৃণমূল কর্মী-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর চলে হামলা। লাঠি-বাঁশ হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি। একের পর এক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘গণতন্ত্রে জনগণই প্রভু, নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও স্থান নেই। যে কোনও মূল্যে সহিংসতা নির্মূল করা হবে এবং হিংসা এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম বলি হবে।’

তিনি আরও বিবৃতি দেন, ‘আদালতের রায় অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে। কোনও অবস্থাতেই গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। অন্ধকারের শক্তিকে বোঝাতে হবে যে এটি প্রতিশ্রুতি নয়, বাংলার নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের দৃঢ় অঙ্গীকার। অপশক্তির বিরুদ্ধে অধিকার রক্ষার এই যুদ্ধে , অধিকারের জয় হওয়া উচিত, অধিকারের জয় হবে।’