রাত পোহালেই সাগরদিঘিতে শুরু হবে ভোটের গণনা। প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহার আসনটিতে কী হবে ফলাফল? সেদিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি। অনেকেই বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাগরদিঘির উপ-নির্বাচন (Sagardighi by-elections) সমস্ত দলগুলির জন্য লিটমাস টেস্ট৷ এখান থেকেই বঙ্গ রাজনীতির ভবিষ্যতের আয়না দেখা যাবে।
বরাবরই উপনির্বাচনে শাসক দলই প্রাধান্য পেয়ে থাকে৷ কিন্তু এবার নবাবের জেলায় বদলের হাওয়ার পূর্বাভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহল৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলাতেই যেভাবে ঘাসফুলের বিস্তার হয়েছিল, তা এবার কিছুটা হলেও মন্দীভূত হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। তাহলে চমক কে দেখাবে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্বাচনের দিনেই শাসক দলের বুথ এজেন্ট থেকে দলের নেতাদের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। নির্বাচনের হাওয়া বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা৷ এবার বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর পাল্লাভারী রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেএ বিরুদ্ধে। তাতেই মুখ ফিরিয়ে বাংলার মানুষ৷ সেটাই আগামী দিনে তৃণমূলের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে৷ যদিও জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ প্রার্থী দেবাশীস বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় হওয়ার দরুন বাড়তি সুবিধে পেতে চলেছে তাঁরা।
তবে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ তাঁর নেতৃত্বে ভরাডুবি হওয়া কংগ্রেসের কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভোট শেষেই চওড়া হাসি সেটার প্রমাণ দিয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সাগর দিঘি থেকে আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতির ভবিষ্যত দেখা যেতে পারে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনের ভোটে অন্যান্য জায়গায় যে মার্জিনে তৃণমূল জিতেছিল, এবার সেটা আর হবে না৷ আবার বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপির অবস্থান টিকিয়ে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷
চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচন লিটমাস টেস্টের মতো। এখানে যদি কংগ্রেস যদি ম্যাজিক দেখাতে পারে তাহলে আগামী দিনে শুধুমাত্র তাঁদের নয়, বামেদেরও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে৷ যদিও জোট নিয়ে এখনই স্পষ্ট করলেন না অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ আগামী দিনে বামেরা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমরা কখনই বলিনি আমরা আলাদা করে লড়াই করতে চাই।
রাত পোহালেই ভোট গণনা৷ চারিদিকে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা৷ বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গণনাকেন্দ্রে৷ আগামী দিনে কী ফলাফল হয়? সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।