Sundarban: মমতার আমলে বাঁধ মেরামতির ৪ হাজার কোটি ফেরত গেছে, বিপদ আসছে: কান্তি গাঙ্গুলী

সুন্দরবনের (Sundarban) ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়ার পরিস্থিতি, বাঁধের অবস্থা, মানুষের দুর্দশা সম্পর্কে অবগত তিনি৷ দুর্যোগের আগে মানুষের কাছে বারবার পৌঁছে যান। ভাটি অঞ্চলের চালু কথা, “ঝড়ের…

Former Sundarbans Development Minister Kanti Ganguly

সুন্দরবনের (Sundarban) ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়ার পরিস্থিতি, বাঁধের অবস্থা, মানুষের দুর্দশা সম্পর্কে অবগত তিনি৷ দুর্যোগের আগে মানুষের কাছে বারবার পৌঁছে যান। ভাটি অঞ্চলের চালু কথা, “ঝড়ের আগে কান্তি আসে”।

সম্প্রতি নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া দুর্যোগে সুন্দরবনের একাধিক এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ভরা কোটালে বাড়ছে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর। বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকছে জল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর ব্লক। বাঁধ মেরামত না করতে পারলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এবার সেই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly)৷

কান্তিবাবু জানিয়েছেন, সুন্দরবনের নদীবাঁধ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েকবছর ধরে রাজ্য সরকার নদী বাঁধের ওপর কোনও নজরদারি দেয়নি৷ প্রধানত সুন্দরবনে প্রতি বছরেই বর্ষার পর শীতকালে নদী বাঁধে মাটি দিতে হয়। আলগা মাটির বাঁধ৷ সেটা একটিতেই বসে যায়। আর অন্যদিকে নদী-সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে৷ গত কোটালে যেটা হল৷

সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না৷ কিন্তু দেখা গেল গোটা সুন্দরবনের কানায় কানায় জল৷ সুন্দরবনের নদীবাঁধ এলাকাজুড়ে যদি ৫০ কিলোমিটার বেগে পুবের হাওয়া বইত, তাহলে অধিকাংশ এলাকায় বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়ত৷ কিন্তু পুবের হাওয়া না থাকার ফলেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে এরপর আসছে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল। সেটা ভাদ্রমাসে হয়। ভাদ্রমাসে জলের স্তর আরও বেড়ে যায়৷ যদি পুবের হাওয়া নাও থাকে তাহলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ফুট জল বাড়বেই। আমি খুব আতঙ্কিত। সুন্দরবনবাসী খুব আতঙ্কিত। সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হল রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই৷

প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছেন, আয়লার পর ৭৭৩ কিলোমিটার নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য কেন্দ্র সরকার ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা দিয়েছিল৷ এর মধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা ফেরত গেছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে সেই টাকা ফেরত নিক৷ রাজ্য সরকার যোগদান করুক৷ নদীবাঁধ ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু না করতে পারলে ভবিষ্যত অত্যন্ত সংকটজনক হবে৷

তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে আমি যা লক্ষ্য করছি রাজ্য সরকারের কোনও তৎপরতা আমার চোখে পড়ছে না৷ আমার বাড়িটাও নদীর একেবারে গায়ে। আমার মতো অসংখ্য সুন্দরবনবাসী আতঙ্কিত৷ জানি না মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবছেন? আমি চাই অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ করা হোক। সময়টাকে কাজে লাগাক রাজ্য সরকার৷