CPIM: আর নয় ব্রিগেড, ৯০বছরে প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মহারানি কোঙারের দেহ দান

দুবছর আগেও অশীতিপর মহারানি কোঙার ছিলেন বিস্ময়। দলের হয়ে নব্য প্রজন্মের সাথে পাল্লা দিয়ে মিছিল করছিলেন। সংবাদমাধ্যমে তুমুল চর্চিত হয়েছিল সেই ছবি। ব্রিগেডে মিটিং হলেই…

দুবছর আগেও অশীতিপর মহারানি কোঙার ছিলেন বিস্ময়। দলের হয়ে নব্য প্রজন্মের সাথে পাল্লা দিয়ে মিছিল করছিলেন। সংবাদমাধ্যমে তুমুল চর্চিত হয়েছিল সেই ছবি। ব্রিগেডে মিটিং হলেই যেতেন। মেমারির প্রাক্তন CPIM বিধায়ক মহারানি কোঙারের কাছে বয়স কোনও ব্যাপার ছিলনা। এবার আর ব্রিগেড যাওয়া হলো না। তিনি প্রয়াত। প্রবীণ বাম বিধায়কের দেহ চিকিতসা বিজ্ঞানের জন্য দান করা হয়েছে। সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি জানিয়েছে, তাঁর মরদেহ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি জানিয়েছে, মহারানি কোঙার ১৯৩৩ সালের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ অর্জন করেন। মেমারি এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে পার্টি সংগঠনকে সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগ হওয়ার পরে তিনি সিপিআইএমে যোগ দেন।

মহারানী কোঙার তিনবার মেমারি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বিধানসভায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। বাম জমানার বিতর্কিত ও দাপুটে নেতা বিনয় কোঙারের স্ত্রী মহারানি কোঙার। তিনিও চর্চিত তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির কারণে। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে আসছে, দাপুটে কৃষক নেতা বিনয় কোঙারের বিতর্কমূলক ভাষণের বিপরীতে মহারানি কোঙার ছিলেন মৃদুভাষী। তিনি প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের পরিবারের সদস্যা।

বাম জমানায় যেমন দলীয় নেত্রী হিসেবে ব্রিগেড মিটিংয়ে যেতেন, সরকার চলে যাওয়ার পরেও সেই ধারা ধরে রেখেছিলেন। গত ব্রিগেড মিটিংয়েও গেছিলেন। ভোট প্রচার করেছিলেন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাম যুব সংগঠনের ব্রিগেড সমাবেশের আগেই মহারানী কোঙার শুক্রবার মেমারির নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।