ফুঁসছে দামোদর ! জীবন হাতে নদী পারাপার নিত্যযাত্রীদের

জেলায় জেলায় লাগাতার বৃষ্টি। যার ফলে রীতিমত ফুঁসছে একাধিক নদী।এর মাঝেই ব‍্যারেজ থেকে দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে জল।এরফলে নতুন করে বাংলার একাধিক অংশে বন্যার আশঙ্কা…

জেলায় জেলায় লাগাতার বৃষ্টি। যার ফলে রীতিমত ফুঁসছে একাধিক নদী।এর মাঝেই ব‍্যারেজ থেকে দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে জল।এরফলে নতুন করে বাংলার একাধিক অংশে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে ধাপে ধাপে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে দামোদরের ওপর বিভিন্ন বাঁধগুলি থেকে। মাইথন ব্যারেজ থেকে এদিন প্রথমে ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। ধাপে ধাপে সেই জল ছাড়ার পরিমান আরও বেড়েছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মাইথন ড্যাম থেকে ছাড়া হয়েছে এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার কিউসেক জল।

দামোদর নদের জলস্তর যেমন বাড়ছে স্রোতও বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে চলছে নৌকায় বিপদের যাত্রা। পূর্ব বর্ধমানের শম্ভুপুর ,জামালপুর এলাকার পর একই চিত্র অমরপুর এলাকায়ও। প্রতি বছরের মত এবারও শুরু হয়েছে বিপদের যাত্রা ভরা দামোদরে। এখানে নেই কোনো লাইফজ্যাকেট, নেই কোনো নিরাপত্তা। বাইক সাইকেল সহ পণ্য বোঝাই করে নৌকায় অত্যন্ত বিপদজনকভাবে পারাপার করছে উভয়দিকের লোকজন।

এখানেও সেতুর দাবি সেই বাম আমল থেকে। ভোট এলেই জ্বলে ওঠে আশ্বাসের প্রদীপ। ভোট মিটতে তা নিভেও যায়। বর্ষা এলেই জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করেন সিয়ালি, মাঝসিয়ালি, মুইতিপুর এলাকার মানুষজনেরা। জল কমলে ভরসা কাঠের তৈরী অস্থায়ী সেতু। আর ভরা বর্ষায় পরিপূর্ণ দামোদরের ভরসা নৌকা। অনেকে নৌকা থেকে পরে আহত হচ্ছেন। এভাবেই চলছে জীবনযাত্রা।পাকা সেতু কবে হবে তার দিকে তাকিয়ে হাজার হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষের দুর্দশা কবে ঘুচবে তা কেউ জানে না।

এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধার। রবিবার রাত আড়াইটা নাগাদ কংসাবতী জলাধার থেকে নদীপক্ষে পাঁচ হাজার দুইশ বাইশ কিউসেক জল ছাড়া হয়। তারপর দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে জল। বৃষ্টির পরিমাণ দেখে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কংসাবতী সেচ দপ্তরের মুকুটমণিপুর জলাধারের জল ধারণ করার ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট এর মধ্যে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে ৪৩২.২ ফুট উচ্চতায় জল রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগাম জল ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী জলধার কর্তৃপক্ষ।যার ফলে নিম্ন অববাহিকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ঘুরতে আসা পর্যটকরা এই জল ছাড়া দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি।