আইএসএফ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) ৪২ দিনের জেল হেফাজতের সময় নিয়মিত আক্রমণ শানিয়ে গেছে শাসক দলের নেতারা৷ এদিকে সাগরদিঘির ফলাফলে ঘুম উড়ল শাসক দলের নেতাদের৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বুঝতে পারলেন সংখ্যালঘু ভোটে ভাটা পড়তে চলেছে। ফুরফুরা শরিফে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ভোল বদলের সেই জল্পনা আরও প্রবল হল৷
নওশাদ সম্পর্কে মন্ত্রীর বক্তব্য, নওশাদ সম্মানীয় ব্যক্তি, নওশাদ আমার ভাই। আমরা আবু বক্কর সিদ্দিকীর মরিদ, তাঁর জন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। তাঁর যাঁরা বংশধর সবাই আমাদের কাছে আদরের। তাঁর কথায়, যেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়ে গিয়েছে। এটা তো পুলিশ করেছে, আমরা করিনি। বাকিটা ওঁর ব্যাপার। আমরা সবাই দাদা হুজুরের মুরিদ। ওঁদের উচিত যাঁরা দাদা হুজুরের মাজারে যাঁরা যাবেন, তাঁদের আলিঙ্গন করা। আমি তো সবাইকে সম্মান করি৷
তবে নওশাদের ওপর অত্যাচারের পর শাসক দলের নেতাদের ফুরফুরা শরিফের হাজিরের বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না পীরজাদাদের একাংশ। তাঁদের একাধিক সেটা কার্যত স্পষ্ট৷ যদিও ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে নতুন দায়িত্ব পেয়ে আজ হাজির হন তপন দাশগুপ্ত। তাঁর বক্তব্য, উন্নয়ন হলে কারও ক্ষোভ থাকে না। আর যাঁরা নিন্দা করার তাঁরা করবে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করব। যেটা ববি হাকিম শুরু করেছেন, তাঁর বাকি কাজ আমি শেষ করব।
কিন্তু এত সহজে কি বিতর্কের অবসান হবে? রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যেভাবে প্রতিনিয়ত দুই শিবিরের মধ্যে আক্রমণ বাড়ছে, শাসক দলের কার্যকলাপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে এর উত্তাপ আরও বাড়বে।