নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বর্ণিত সৎ রঞ্জন (Ranjan) ওরফে বাগদার মাম-ভাগ্নে গ্রামের চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি চাকরি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ একইসঙ্গে অভিযোগ, বস্তায় ভর্তি করে টাকা কলকাতায় গাড়ি করে পাঠাত চন্দন৷ সবটাই ছিল চাকরি প্রার্থীদের টাকা৷ এবার চন্দন মণ্ডলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মামা-ভাগ্নে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য।
তিনি বলেন, সরকার কি জানে না, এই চাকরি কীভাবে হচ্ছে? আগা থেকে মাথা অবধি সব ধরুক৷ চন্দনের শুধু একার দোষ দিলে হবে না। কার মাস্টারপ্ল্যান? কারা সরকার চালাচ্ছে? কারা শিক্ষা দফতর চালাচ্ছে। চন্দন তো আমাদের মামা-ভাগ্নের ছেলে৷ কলকাতায় শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক৷
তাঁর কথায়, বহু প্রভাবশালী নেতারা চন্দনের কাছে আসত৷ কারা আসত? যারা আসত তাঁদের মধ্যে ছিলেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মাঝে মাঝেই আসতেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চন্দনকে চিনতেন না বলেই দাবি করেছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, শুধুমাত্র মামা-ভাগ্নে গ্রাম থেকে একশো জনের চাকরি হয়েছে। আশেপাশে মিলিয়ে ২০০ জন পার করবেই। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
অন্যদিকে, চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একই পরিবারের কাছ থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৪৪ লক্ষ টাকা নেয় সে৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত কিছু বেচে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। বেআইনিভাবে দুই জনের চাকরি হয়েছিল পরে আদালতের নির্দেশে চাকরি যায় তাঁদের। চন্দনের কার্যকলাপ এখন সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। আগামী দিনে কাদের তলব করা হয়? সেটাই দেখার৷