নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট নিয়ে বিভিন্ন মহলে পার্থ-অর্পিতার (Arpita Mukherjee and Partha Chatterjee) বিপুল সম্পত্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে অর্পিতাকে নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেদেশে আছে অর্পিতার নামে সম্পত্তি।
থাইল্যান্ডেই থাকতেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। তদন্তের ফল আরও রোমাঞ্চকর হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা। সিমবায়োসিস ট্রেডার নামে এক ভুয়ো কোম্পানির মালিক স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে থাইভূমিতে পার্থর সম্পত্তির তথ্য জানতে পেরেছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৪-১৫ সালে থাইল্যান্ডের এক সংস্থার আমন্ত্রণে গেছিলেন তৎকালীন তৃ়নমূল কংগ্রেস মহাসচিব ও মন্ত্রী পার্থ৷ সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা৷ সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন পার্থ। বিশ্ববিখ্যাত ফুকেট সৈকত বেড়াতে গিয়ে সম্পত্তি কিনেছিলেন পার্থ৷ যার অর্ধেক মালিকানা অর্পিতার।
ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিদেশী সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এবিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। পরে স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছে কালো টাকা সাদা করতেই সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করত পার্থ৷
চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নেপাল, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালেয়শিয়া ও আমেরিকার মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেই মুদ্রা কার? ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা জানিয়েছেন, সেই মুদ্রা তার নয়, একাধিক সময় একাধিক ব্যক্তি রেখে যেতেন।
এমনিতেই ইডি চার্জশিটে যে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। চার্জশিটে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অর্পিতার বাড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা পার্থর বলে দাবি করেছে অর্পিতা৷ ইডির দাবি, প্রায় ১০০ কোটি টাকার অধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে পার্থ ও অর্পিতার৷ এই বিপুল টাকা কোথা থেকে আসত তা জানতে চলছে তদন্ত। অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে শিক্ষা দফতরের খাম উদ্ধার হয়েছে৷ অর্থাৎ এর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর যোগ রয়েছে কিনা, খোঁজ করছে ইডি৷