গোরু পাচার তো ছিলই সুযোগ মতো বিপুল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগেও জড়িত তৃ়ণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রত মণ্ডলের সুপারিশে কতজন স্কুল ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পেয়েছেন সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু করল ইডি (ED)।
ইডি সূত্রে খবর, মেধাতালিকায় নাম নেই অথচ চাকরি পেয়েছেন এমন তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। জেলা ভিত্তিক সেই তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রত্যেক জেলা থেকেই প্রার্থীদের নামের তালিকা হাতে এসেছে। সেই তালিকায় রয়েছে বীরভূমের নাম। সেই সমস্ত নামের তালিকা ধরেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এই মুহুর্তে জেলবন্দি। গোরু পাচার তদন্তে জেলে অনুব্রত।
ইডি সূত্রে খবর, বীরভূম জেলায় অনুব্রত মণ্ডলের সম্মতি নিয়েই সরকারি চাকরির নিয়োগ তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। মেধা তালিকায় নাম না থাকার পরেও বীরভূম জেলার অনেকেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে জেলা সভাপতি হাত ধরে চাকরি পেয়েছেন। শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি্র ক্ষেত্রে নয়, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কেষ্টর কোনও প্রভাব ছিল কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডির সন্দেহ, বীরভূম জেলা নয়, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জাল বিছিয়েছিল অনুব্রত। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের পছন্দের লোকদের চাকরি পাইয়ে দিত বলেই সন্দেহ বাড়তে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
ইডি সূত্রে খবর, নিজের পছন্দের লোকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বদলে একাধিক সুবিধা নিতেন অনুব্রত। সেখানে কোনও টাকার লেনদেন হত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।