এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নিজের কন্যার চাকরি পাওয়া নিয়ে বিপাকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। তিনি জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা আসার আগে কেন পদাতিক এক্সপ্রেস থেকে কন্যা সহ পালিয়ে গেছিলেন তা নিয়ে রাজ্য সরগরম। বুধবার ভোরে বর্ধমান জংশনে নেমে পড়েন পরেশ অধিকারী।
এই ঘটনায় সিপিআইএম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের (Dipsita Dhar) কটাক্ষ, “চাকরি উধাও হয়ে গিয়েছিল। এবার মন্ত্রীও উধাও হয়ে গেল। ‘পিসি সরকারের’ ম্যাজিক!”
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে দীপ্সিতা ‘পিসি সরকার’ লিখেছেন। তৃ়ণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলগুলি ও সমর্থকরা বারবার কটাক্ষ করেন ‘পিসি ভাইপোর সরকার’। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিসি।
হাইকোর্ট মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জেরা করতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয়। আর মন্ত্রী জানান, তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ তো ডিভিশন বেঞ্চে আটকে যাবে। সেই মতো তাঁর আইনজীবীরা যুক্তি সাজাচ্ছেন।
অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। মামলাকারী ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। কিন্তু তিনি কেন চাকরি পেলেন না। সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে। সেইসঙ্গে ব্বিতার পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর ৮ হলেও অঙ্কিতার কোনও তথ্য নেই। এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই জেরা করার জন্য তৈরি হয় মঙ্গলবার। তবে মন্ত্রী ছিলেন কোচবিহারে। মেখলিগঞ্জ থেকে জলপাইগুড়ি রোড হয়ে রাতে কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরেন। মাঝপথে তাঁর উধাও হয়ে যাওয়ায় বিতর্ক বাড়ল।