District news: জুনপুটে সমুদ্র সৈকতে স্নানে নেমে নিখোঁজ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

District news: কাঁথির জুনপুটে বগুড়ানজালপাইতে সমুদ্র সৈকতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে নিখোঁজ হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক যুবক। সঙ্গীরা বন্ধু সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া অভিযোগ করলেও,…

Junput

District news: কাঁথির জুনপুটে বগুড়ানজালপাইতে সমুদ্র সৈকতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে নিখোঁজ হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক যুবক। সঙ্গীরা বন্ধু সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া অভিযোগ করলেও, কিন্তু মানতে চাইনি পরিবারের সদস্যরা। খুনের অভিযোগ তুলে সরব হলেন নিখোঁজ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃত শেখ মিনাজ (১৯)। তাঁর বাড়ি কাঁথি শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে মনোহরচক এলাকায় বাসিন্দারা। নিখোঁজ যুবকের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। রবিবার দুপুরে বগুড়ানজালপাইতে সমুদ্র সৈকতে পরিদর্শনে যান জুনপুর উপকূল থানার ওসি প্রতিমা বায়েন ও ৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর দেবাশীষ পাহাড়ি।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকালে কয়েকজন চারজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাইকে করে কাঁথির জুনপুটে বগুড়ানজালপাইতে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। তারপর তাঁরা সৈকতে বসে মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ। পাড়ে ব্যাগ, জুতো রেখে স্নান করতে যান। তখন জোয়ার চলছিল। সমুদ্রগামী খাল আর সমুদ্রের সংযোগস্থলে ওই অংশে স্রোতের টান যথেষ্ট। স্নানের সময় চারজনই ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে অনেকটাই দূর এগিয়ে যান। তারপর সকলেই একপ্রকার হাবুডুবু খেতে থাকেন।

এদিকে, জুনপুট উপকুল থানার ওসি প্রতিমা বায়েন নেতৃত্বে যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে সমুদ্রের অনেকটা অংশ জুড়ে চলে তল্লাশি। রবিবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ শেখ মিনাজের সন্ধানই মেলেনি। মিনাজের এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল এবং এছাড়াও একটি মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকান চালাতেন।
যদিও শেখ মিনাজের মা মিনা বিবি সহ বাড়ির সদস্যরা তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ ” সমুদ্রস্নানের সময় জলে ডুবিয়ে মিনাজকে খুন করা হতে পারে। বন্ধুরা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রকৃত ঘটনা তদন্তের জন্য অনুরোধ জানায় “।

রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা একজন সঙ্গী’কে আটক করে বিস্তারিত জানার জন্য সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন। এদিন সঙ্গী এক কিশোরের কথায়, মিনাজ এবং সঙ্গী অর্ণব মাইতি তলিয়ে যেতে থাকেন। এই অবস্থা দেখে আমি ও অভিজিৎ পাহাড়ী নিজেদের রক্ষা করে তাঁদের কোনওরকমে টেনে তোলার চেষ্টা করি। অর্ণবকে কোনওভাবে উদ্ধার করা গেলেও মিনাজ ভেসে যান। তিনজন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের চিৎকার করে ডাকেন। কিন্তু তখন তাঁদের করার কিছু ছিল না। এদিকে তাঁরা ভয় পেয়ে পাড়ে উঠে এসে বাইকে পালিয়ে যান।

জুনপুট উপকূল থানার ওসি প্রতিমা বায়েন বলেন ” সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। জোয়ারের সময় যাতে পর্যটক থেকে স্থানীয়রা সমুদ্রে না নামেন। এছাড়াও গভীরে না যান। সেব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করা শুরু হয়েছে। গোটা সমুদ্র সৈকতে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক উপকূল থানায় খবর পাঠানো হয়েছে “।