একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে বাংলায়। এমনকি প্রথম দফার পুরভোটেও মুখ পুড়েছে দলের। এদিকে ভোটের পরেই বিপুল সাংগঠনিক রদবদল ঘটায় বিজেপি নেতৃত্ব। একাধিকের ক্ষমতা অবধি খর্ব করা হয়। আর তারপর থেকেই দলের মধ্যে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হতে থাকে দলের মধ্যে।
যত সময় গড়াচ্ছে দলে ফাটলের চিহ্ন ততই ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। প্রশ্ন উঠছে কেন দলের এমন অবস্থা? এ নিয়ে সদুত্তর না মিললেও সূত্র মারফত খবর, দলের আড়ালে অনেকেই আছেন যারা নিজের আখের গোছানোর ব্যাপারে বেশি মনোনিবেশ করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক দৃঢ়তা নিয়েও। এখন কিনা খোদ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে লোকাল ট্রেনের কামরায়। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ।
চন্দননগরে দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে ঘটনাটি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘লোকে আমার নামেও পোস্টার দিতে পারে। যেকোনও কারুর ক্ষেত্রেই পড়তে পারে। কিছু মিশ্র লোক আমাদের পার্টিতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা অধৈর্য হয়ে গেছেন। তাই তাঁরা কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত বুঝতে পারছেন না।’
অন্যদিকে এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এই ধরনের কাজ অত্যন্ত ঘৃণ্য। যাঁরা এই ধরনের কাজ করেছেন তাঁরা আসলে কতটা নিকৃষ্ট তা বোঝা যায়। আমি এতদিন জানতাম, ট্রেনে কেবল গুপ্ত রোগের পোস্টার দেওয়া হয়। আজ কত নীচে বিষয়টিকে নামিয়ে নিলেন যাঁরা এই কাজটি করেছেন। তাঁদের সকলের যোগ্য শাস্তি হওয়া উচিত।’