CPIM : কোর্ট-কাছারিতে ছুটছে বুলি, বন্ধ ঘরে বাম-নীতি

শূন্য নয়। তবে শূন্যের খুব কাছে। বাম (CPIM)-নীতিকে এখন ঠিক গ্রহণ করছেন না সাধারণ মানুষ। না-কি গ্রহণ করানোর পদ্ধতিতেই রয়েছে গলদ! তৃণমূল স্তরে সংগঠন মজবুত…

শূন্য নয়। তবে শূন্যের খুব কাছে। বাম (CPIM)-নীতিকে এখন ঠিক গ্রহণ করছেন না সাধারণ মানুষ। না-কি গ্রহণ করানোর পদ্ধতিতেই রয়েছে গলদ!

তৃণমূল স্তরে সংগঠন মজবুত করা বামেদের অন্যতম ইউএসপি। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক-মজদুরদের এক ভরসা হিসেবে এক সময় উঠে এসেছিল লাল নিশান। সময়ের সঙ্গে কমেছে ভরসা। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন বাম নেতারা। সে এক ইতিহাস। আপাতত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ আলোচ্য।

   

পরিস্থিতি, পরিবেশ বুঝে পরিবর্তিত হতে পারে বামেদের কাজের ধরণ। কিন্তু তা সর্বদাই থাকতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। ইদানিং যা উধাও। ভোটের ময়দানে তৃণমূল, বিজেপি যখন প্রচারের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছে, বামেরা তখন আসম গুনতে ব্যস্ত। জোট হবে কি না, হলে কে কোন আসন থেকে প্রার্থী দেবে এসব।

ক্ষমতায় থাকা পার্টির বিরোধিতা করা বামেদের আবশ্যক কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম। ইস্যু খাড়া করে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কথা বলা, কর্মসূচীকে জনমুখী করা। আদালত কক্ষে বুলি ছুটিয়ে ‘খবর’ করা সম্ভব, কিন্তু মানুষের কাছে আসা যায় না। আম-জনতার একাংশের কাছে কোর্টের দরবার এখনও দূরের গন্তব্য।

প্রচার অভিযানে বামেদের খুঁজতে হচ্ছে দূরবীনে। ইস্যুগুলো শুধু কোর্টে না বলে, রাস্তায় দাঁড়িয়েও জোরের সঙ্গে বলতে পারতেন বাম নেতারা। হয়তো বলেছেন বিচ্ছিন্নভাবে। ধারাবাহিক প্রচার, তীব্র সরকার বিরোধী বাম অভিযান বহু দেখেননি সাধারণ মানুষ।

কলকাতা উচ্চ আদালতে- করোনা, দুর্গাপুজো, পরিবেশ রক্ষা, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পার্টি। আবেদন করে সাফাল্যও মিলেছে কিছু। তবে তা আদালতের দরবারে। মধ্যবিত্ত মানুষের দরবারে এর ‘ইম্প্যাক্ট’ কতটা?

কৃষক বিদ্রোহের চাপে পিছু হটেছে কেন্দ্র। বিভিন্ন প্রান্তের বাম সংগঠন চাষিদের পাশে থেকেছেন নিরন্তর। এ রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতাদের ভূমিকা কী, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেকেই মাথা চুলকোবেন।

কর্পোরেশন ভোট পিছিয়ে গিয়েছে৷ পিছলেও বামেদের কপাল খুলবে এমন গ্যারান্টি নেই। কারণ নেতাদের বাম-নীতি এখন কেবল কোর্টের ঘরে। আলিমুদ্দিনে থিওরি ক্লাস।