Delhi Diary: গতকাল সারাদিন ধরে চল নাটকীয় কেষ্ট পর্ব। এর পর বীরভূমের বাঘকে (Anubrata Mondal) আগামী ১০ তারিখ অবধি জেল হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেষ্টকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য তৈরি হয়েছে ৬ সদস্যের একটি টিম। যার নেতৃত্বে ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং। দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল-সায়গলদের বয়ানকেই হাতিয়ার। বিপুল অঙ্কের লেনদেন খুঁজছে ইডি।
সূত্রের খবর, একইসঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নিয়ে। গরু পাচারের ক্ষেত্রে কোনও প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? তাঁর আয়ের উৎস কী? একাধিক রাইস মিলের টাকা কোথায় জমা হয়েছে? এর সঙ্গে গরু পাচারের কোনও যোগ রয়েছে? এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এনামুল হক, সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও আরও বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করবে ইডি।
এরপর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য ইডির হাতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল, এনামুল ও সায়গলের স্টেটমেন্ট। কারণ, তাঁরা দাবি করেছেন, সায়গলের মোবাইল ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার এনামুল হকের কথা হয়েছে। বারবার তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে? চাওয়া হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলের গত ৫ বছরের আয়করের হিসেব।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের আয় বৃদ্ধি হয়েছে, তাতে তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল যে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা ব্যবহার করেছেন, সেটাও কোথা থেকে এল? তা জানতে চাইবেন ইডির আধিকারিকরা। বাদ যাবে না লটারির প্রসঙ্গ।