মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কবি হিসেবে পুরষ্কৃত করার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি (WB Bangla Academay) থেকে পাওয়া সম্মাননা ফেরানোর কথা আগেই বলেছিলেন লোকসংস্কৃতি গবেষিকা রত্না রশিদ ব্যানার্জি (Ratna Rashid Banerjee)। তাঁর বিস্ফোরক প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে। এবার কথা রেখে তিনি সম্মাননা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ, মানপত্র ফেরত পাঠালেন।
২০১৯ সালে রত্না রশিদ ব্যানার্জিকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি অন্নদাশংকর রায় স্মারক সম্মান প্রদান করে। সেই সম্মাননা বাবদ পাওয়া ১৫ হাজার টাকা ও স্মারকটি এদিন তিনি রেজিস্টার্ড ডাক মারফত ফেরত পাঠালেন।
সাহিত্যিক ও লোকসংস্কৃতি গবেষিকা রত্না রশিদ ব্যানার্জি কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমির তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে কবি হিসেবে নিরলস সাহিত্য সাধনার জন্য পুরষ্কৃত করা মেনে নিতে পারেননি। একাডেমির তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘কবিতা বিতান’ এর জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।
এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। কবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতাগুলি কি আদৌ পঠনযোগ্য এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রত্মা রশিদ প্রতিবাদ দেখানোর পর বিতর্ক আরও বাড়ে। এই বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দা়ঁড়ান তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী ও কবি সাহিত্যিকরা। চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন,রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজের হাতে মমতাকে পুরস্কৃত করতেন।
তবে রত্না রশিদ তাঁর প্রতিবাদে অনড়। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের বাসিন্দা রত্না রশিদ ব্যানার্জিকে এদিন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের তরফে একটি বিশেষ সম্মাননা মানপত্র প্রদান করা হয়। বামপন্থী এই সাংস্কৃতিক সংগঠনটির তরফে রত্না রশিদের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে।