সিবিআই ছুঁলে….মেয়ের চাকরিতে দুর্নীতি, জেরার মুখে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী

বিপাকে মমতার সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর (State Minister for Education) মেয়েকে চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC scam) অভিযোগে সিবিআই (CBI) জেরার নির্দেশ ঘিরে সরগরম পরিস্থিতি। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর…

Paresh Chandra Adhikary

বিপাকে মমতার সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর (State Minister for Education) মেয়েকে চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC scam) অভিযোগে সিবিআই (CBI) জেরার নির্দেশ ঘিরে সরগরম পরিস্থিতি। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমের দিকে নাম ছিল মামলাকারীর। কিন্তু পরে নিয়োগপত্রে দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম প্রথম স্থানে রয়েছে। পরে মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল শিক্ষক পদে রয়েছেন অঙ্কিতা। আদালতের পর্যবেক্ষন, প্রভাব খাটিয়ে মন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগ হয়েছে।

মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলে হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই নির্দেশের পরেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা একটি তদন্তকারী দল গঠন করবে। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে অর্থাৎ দুর্নীতির শিকড় কতদুর অবধি গড়িয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।

পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির বক্তব্য, এটা আদালতের কোনও নির্দেশ নয়। যাতে মন্ত্রিসভায় স্বচ্ছতা থাকে সেজন্য রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করছেন তিনি।
বিচারপতি আরও বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীকে বরখাস্ত করলেই দুর্নীতি শেষ হয়ে যাবে এমনটা ভাবার প্রয়োজন নেই। দুর্নীতি অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। সেই কারণে অঙ্কিতার মতো প্রার্থীরা চাকরী পেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ধারণা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে।

অভিযোগ, অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। মামলাকারী ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। কিন্তু তিনি কেন চাকরি পেলেন না। সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে। সেইসঙ্গে ব্বিতার পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর ৮ হলেও অঙ্কিতার কোনও তথ্য নেই। এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।