CPIM: ‘চোর-চোর’ স্লোগানে রাস্তায় বাম

প্রার্থী কবে হবে জানে না কর্মীরা। তবে রবিবার থেকে রাস্তায় নামছে বাম শিবির। রাজ্যে একদা সাড়ে তিন দশকের শাসকদল সিপিআইএমের এমন করুণ হাল যে দলের…

প্রার্থী কবে হবে জানে না কর্মীরা। তবে রবিবার থেকে রাস্তায় নামছে বাম শিবির। রাজ্যে একদা সাড়ে তিন দশকের শাসকদল সিপিআইএমের এমন করুণ হাল যে দলের ও বাম শরিকদের প্রার্থী কবে তা ঘোষণার জন্য কংগ্রসের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কংগ্রেস তাদের প্রথম দফার তালিকায় বাংলাকে বাদ দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস।

রাজ্যে সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিসেব ধরে মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান জেলার ফলাফলে বাম শিবির উচ্ছ্বসিত। বাম নেতাদের দাবি, চরম রিগিং গণণা হলেও এই দুই জেলায় লাল চোখে লড়াই হয়েছে। ফলে দুটি জেলার দুটি আসনকে টার্গেট করেছে সিপিআইএম। দলটির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ঘনঘন মুর্শিদাবাদ সফর চলছে। প্রতিটি মিছিলেই বিপুল ভিড়।

খোদ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসনটি উপনির্বাচনে কংগ্রেস-বাম জোটের দখলে গেছিল। তবে জয়ী প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস পরে তৃণমূলে যোগ দেন। সাগরদিঘির ক্ষোভ তুঙ্গে। এই ক্ষোভ জেলার সবকটি বিধানসভাতেই ছড়িয়েছে বলেই জানা গেছে। তদুপরি জেলার তৃণমূল বিধায়কদের বড় অংশ বিদ্রোহী।

মুর্শিদাবাদ জেলার ভোটার সমীকরণের হিসেব ধরেই বাম শিবির আপাত নীরবে। এই জেলা থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বাম শিবির বহরমপুর ছেড়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদ চায় কংগ্রেস রাজি আছে বলেই জানা যাচ্ছে।

১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড কর্মসূচি। একই দিনে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সাতটি জায়গায় সিপিআইএমের মিছিল ও সমাবেশ। সিপিআইএম সূত্রে খবর সমাবেশ হবে ভগবানগোলা (মুর্শিদাবাদ), কৃষ্ণনগর (নদিয়া), সিঁথি (উত্তর ২৪ পরগনা), বুদবুদ (পশ্চিম বর্ধমান), বৈদ্যপুর (পূর্ব বর্ধমান), রামপুরহাট (বীরভূম),উলুবেড়িয়া (হাওড়া)-এই এলাকাগুলিতে।