Minakshi Mukherjee: ব্রিগেডে ‘নেত্রী’ হবেন মীনাক্ষী, কোচবিহার-কলকাতা প্রস্তুতির ঘোড়া ছোটাল CPIM

সেনাবাহিনীর ‘অনুমতি মিলেছে’ ব্রিগেডেই হবে জনসভা। এটুকুই শুনতে চেয়েছিলেন বাম সমর্থকরা। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাম যুবনেত্রী (Minakshi Mukherjee) মীনাক্ষী মুখার্জি সেই বার্তা দেওয়ার পর জেলায়…

Minakshi Mukherjee

সেনাবাহিনীর ‘অনুমতি মিলেছে’ ব্রিগেডেই হবে জনসভা। এটুকুই শুনতে চেয়েছিলেন বাম সমর্থকরা। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাম যুবনেত্রী (Minakshi Mukherjee) মীনাক্ষী মুখার্জি সেই বার্তা দেওয়ার পর জেলায় জেলায় ৭ জানুয়ারি ‘সমাবেশ সফল’ করার প্রস্তুতি পর্বে ঘোড়া ছোটাল সিপিআইএম। শুরু হয়েছে বাস ভর্তি ও ট্রেন ভর্তি সমর্থক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। দলটির শ্রমিক শাখা সিটু ও কৃষক শাখা কৃষক সভা নিল সেই উদ্যোগ। জেলা কমিটিগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। দলটির যুব সংগঠন DYFI ও ছাত্র সংগঠন SFI সূত্রে খবর, ব্রিগেডে জনসুনামি দেখা যাবে।

রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর এক যুগ কেটে গেছে বিধানসভায় সিপিআইএমের কোনও সদস্য নেই। তবে এই একযুগে যতবার বামফ্রন্টের আহ্বানে ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে প্রতিবারই ‘জনসুনামি’ লক্ষ্য করা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ব্রিগেডের মতো বিশাল ময়দান ভরানোরো ক্ষমতা শাসকদল তৃণমূল ও তাদের নেত্রী মমতার যেমন আছে তেমনই আছে সিপিআইএমের। রাজ্যে বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি বেশ কয়েকবার ব্রিগেড সমাবেশে ‘লক্ষ জমায়েত’ দাবি করলেও তাতে বাস্তবে প্যান্ডেলের আড়ালে ঢেকে রাখা হিসেব। বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ব্রিগেড থেকে বাম ‘যুবনেত্রী’ মীনাক্ষী মুখার্জি হতে চলেছেন ‘নেত্রী’।

বিশ্লেষণে উঠে আসছে, পশ্চিমবঙ্গে তাবড় তাবড় বাম নেত্রী ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির (CPI) গীতা মুখার্জি, রেণু চক্রবর্তীরা জাতীয় স্তরে পরিচিত। তবে এ রাজ্যে CPIM এর দাপটে CPI ছিল কোণঠাসা। ফলে সেই নেত্রীরা ‘জননেত্রী’ হতে পারেননি। তবে কংগ্রেসের যুবনেত্রী ও পরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই জননেত্রী হন। তাঁর আহ্বানে ব্রিগেডে জনসমুদ্র নামত। এখনও নামবে।  সেই মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী মহিলা মুখ এ রাজ্যে একমাত্র মীনাক্ষী। তবে গত দুটি বিধানসভা ভোটে ব্রিগেড সমাবেশে সিপিআইএম নেত্রী হিসেবে ভাষণ দিয়ে নজর কেড়েছিলেন দেবলীনা হেমব্রম ও জাহানারা খান।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, ‘‘ভূল এজেন্ডার বিরুদ্ধে মূল এজেন্ডার লড়াই। আগামী ৭ জানুয়ারি বেলা ১২:৩০টায় সমাবেশের কাজ শুরু হবে। রাজ্যে গনতন্ত্র প্রিয়, স্বাধীনচেতা সব মানুষের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে এই সমাবেশে আসার জন্য।’’