ভোটগুলো গেল কোন চুলোয়! এক ডাকে বিরাট মিছিল করে দেয়, মিটিংয়ে ভিড় করে তাহলে ভোটের দিন কী এমন ঘটে যে ভোট মেলেনা, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জামানত হারানো CPIM ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছে না। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় উপ নির্বাচনে মাত্র ১ শতাংশ ভোট বেড়েছে। সংখ্যার হিসেবে ৬৫১টি ভোট বৃদ্ধি! অথচ ধূপগুড়িতে সিপিআইএমের যে বিরাট মিছিল হয়েছিল তাতে চমকে গেছিল তৃণমূল ও বিজেপি। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সামলে জলপাইগুড়ি জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব বিরাট মিছিল করে হাসি চওড়া করেছিলেন। ধূপগুড়ির বাম প্রচারে ভিড় রাজনৈতিক মহলে তৈরি করেছিল আলোড়ন। শুক্রবার ফল ঘোষণার পর জামানত হারানো সিপিআইএম খুঁজছে কোথায় গেল ভোটগুলো!
সূত্রের খবর, জেলার নেতাদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য দফতর। সেই রিপোর্ট দেখে পরিস্থিতি বিচার করা হবে। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে বিধানসভা ভোটে ব্রিগেড মিটিংয়ে লক্ষ লক্ষ সমর্থকের জমায়েতের পর ভোটে শূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। দলীয় নেতারা বলছেন, মিছিল মিটিংয়ে সমর্থকদের ঝাঁঝালো মেজাজ দেখা যায়। ভোটের দিন সব উবে যায়। কেন এমন হচ্ছে তা জানতে মরিয়া চেষ্টা করছেন রাজ্য সম্পাদক।
ধূপগুড়ির ক্ষেত্রে বাম নেতাদের যুক্তি, উপনির্বাচনে ধূপগুড়িতে জয়ের সম্ভাবনা ছিল না। তবে ভোট বাড়বে সেটাই ধরা ছিল। ফলাফল দেখে তারা হতবাক। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এই ধূপগুড়িতে সিপিআইএম পেয়েছিল ১৩,১০৭ টি ভোট। উপনির্বাচনে পেয়েছে ১৩,৭৫৮ ভোট। ৬৫১টি ভোট বেড়েছে।
রাজ্যে গত পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের পর বিশ্লেষকরা বলছেন বাম শক্তি মূলত ত়ৃণমূল বিরোধী অবস্থানে। এমনই রিপোর্ট বিরোধী দল বিজেপির শীর্ষ নেতারা পেয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ন, ধূপগুড়িতে ফলাফল ঘোষণার পর জয়ী তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ বাম-কংগ্রেসের সমালোচনা করতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তাদের ‘উত্থান’ উল্লেখ করেছেন। সেই উত্থান ইভিএমে খুঁজে পাননি বিশ্লেষকরা। কোথায় গেল ভোট? সিপিআইএম নিজেও জানে না।