দিল্লি থেকে নদিয়া, ভরাডুবির ‘পোস্ট মর্টেমে’ ব্যস্ত CPIM

নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে দলের ফল মোটেও ভাল হয়নি। রাজ্যের ৪২ টি আসনেই ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। সেই ভরাডুবির লাগাতার ‘পোস্ট মর্টেম’ চলছে বাম শিবিরে। প্রশ্ন…

wb-bypoll-cpim-can-win-this-assembly-seat-of-west-bengal-in-the-by-election

নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে দলের ফল মোটেও ভাল হয়নি। রাজ্যের ৪২ টি আসনেই ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। সেই ভরাডুবির লাগাতার ‘পোস্ট মর্টেম’ চলছে বাম শিবিরে। প্রশ্ন উঠছে কেন এমনটা হল? এর মধ্যেই আগামী ২৮ থেকে ৩০ জুন দিল্লির একে গোপালন ভবনে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। রাজ্য কমিটির বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়েই ফের আলোচনায় বসবে পলিটব্যুরো। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে ২৩ থেকে ২৫ তারিখ নদিয়ার কল্যানীতে ফের বৈঠকে বসবেন বাম নেতারা। সেখানে আগামী দিনের কর্মসূচি কি হবে, তা ঠিক করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহে দলীয় কমিটির বৈঠকে পর্যালোচনা করে জানা যায়,গরীব মানুষেরাই মূলত মুখ ফিরিয়েছে দলের থেকে। এছাড়াও যুব সমাজের একটা বড় অংশও দলের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছে না। তার ওপর ধর্মীয় দ্বিমেরুকরণ আরও বিপাকে ফেলেছে দলকে। সাংগঠনিক স্তরে ব্যপক দুর্বলতাও ভোট-ভরাডুবির অন্যতম কারণ। তবে ভোটে কোনও আসন না পেলেও গত বারের তুলনায় ভোটের হার বেড়েছে বলেই দাবি বাম নেতাদের। এই হার বজায় রেখে আসন জেতাই এখন লক্ষ্য আলিমুদ্দিনের।

   

গত বুধবার কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলের জেলা সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। সেখানেও জেলা নেতাদের পাল্টা প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্য বাম নেতৃত্বকে। বর্ধমানের কৃষক নেতা ও হুগলির পঞ্চায়েতস্তরের নেতারা সোচ্চার হন পার্টি সেক্রেটারি মহম্মদ সেলিমের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় সুজন-সেলিমকে।

ওই আলোচনায় প্রশ্ন ওঠে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও। কারণ গত প্রায় এক দশকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বামেদের। বরং দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে বেড়েছে অসন্তোষ। এমনকি অন্যান্য বাম শরিক দলগুলির মধ্যেও বেড়েছে অবিশ্বাস। জোটধর্ম পালনে কংগ্রেসকে ছাড়তে হয়েছে একাধিক আসন। ফলে ওই আসনগুলোয় এক সময়ে জয়ী হওয়া সত্বেও নিজের অধিকার হারাতে হয়েছিল ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির মতো ছোট বাম শরিকদলগুলিকে। ফলে তাঁরাও সেটা মানতে নারাজ। সেই প্রতিফলন এবার দেখা গেল আসন্ন উপ নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রের আসন সমঝোতা নিয়ে। এই জোট জল্পনার মধ্যে আসন্ন উপ নির্বাচনে কেমন ফল হয়, কত শতাংশ ভোট পাবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দল।