Paschim Medinipur: বাম সমর্থনে তৃণমূলের প্রধান হয়েই সাসপেন্ড, পঞ্চায়েত বোর্ড ভন্ডুল

অবাক কাণ্ড দুর্গাপুরে। দলের পদপ্রার্থীকে পরাজিত করে নিজের দলের দশ ও সিপিআইএমের তিন পঞ্চায়েত সদস্যর ভোট পেয়ে উপপ্রধান নির্বাচিত হলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ বাদ্যকর।…

অবাক কাণ্ড দুর্গাপুরে। দলের পদপ্রার্থীকে পরাজিত করে নিজের দলের দশ ও সিপিআইএমের তিন পঞ্চায়েত সদস্যর ভোট পেয়ে উপপ্রধান নির্বাচিত হলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ বাদ্যকর। ঘটনাটি অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের। অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৩ টির মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ২০টি আসনে, সিপিআইএম পায় তিনটি আসন। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন হয়। উপপ্রধান পদে অফিসিয়াল পদ প্রার্থী ছিলেন আশীষ ভট্টাচার্য। তবে আরেক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ বাদ্যকর ভোটাভূটিতে অংশ নেন।

নুন্যতম ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের ভোট প্রয়োজন হয় উপপ্রধান হতে গেলে। দেখা যায়, ১০ পঞ্চায়েত সদস্য এবং তিন সিপিআইএম পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ বাদ্যকরকে। এর ফলে তৃণমূলের অফিসিয়াল পদ প্রার্থী আশীষ ভট্টাচার্য পরাজিত হন।

ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন খান্দরা পঞ্চায়েতের অফিসিয়াল উপপ্রধান পদপ্রার্থী আশীষ ভট্টাচার্য। তিনি অভিযোগ করেন যে দলের একাংশ সিপিআইএমের সাথে সেটিং করে তাকে হারিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে দলের হুইপ অমান্য করে দলের ভাবমূর্তি নস্ট করলো দলেরই একাংশ। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে জয়ী উপপ্রধান তৃণমূলের গণেশ বাদ্যকরের দাবি যে আশীষ ভট্টাচার্য ভুল বলছে। তিনি জানান যে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাকে যোগ্য মনে করছেন তাই ভোট দিয়েছেন।

এমন ঘটনায় বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডলকে পাশে নিয়ে জেলা যুব সভাপতি কৌশিক মন্ডল ঘোষণা করেন দল বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে গণেশ বাদ্যকরকে। অপরদিকে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কটাক্ষ করেছে।