সন্দেশখালি নিয়ে ফায়দা লুটছে BJP, অভিযোগ কংগ্রেস নেতার

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বারবার দোষীর কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন…

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বারবার দোষীর কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন এই সন্দেশখালি নিয়ে বিক্ষোভের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপি।

তবে এই সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি (BJP)-র বিরুদ্ধেই রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি (Pramod Tiwari)। তিনি বলেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে, এমনকি তারা এটিকে মারাত্মক করে তুলছে। তবে রাজ্যে যে ধরনের পরিস্থিতির সাক্ষী তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্য সরকার ঘুমিয়ে আছে; তারা এখনও ওই একজনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A.) জোটে একসঙ্গে থাকলেও বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সেই তৃণমূলকেই দোষীর কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস (Congress)। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহজাহান শেখ (৪২) ‘ভাই’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি ব্লকে মৎস্য চাষে ক্ষুদ্র শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। সন্দেশখালীতে মৎস্য চাষ ও ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। শেখ ২০০৪ সালে ইটভাটার ইউনিয়ন নেতা হিসাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে তিনি তার রাজনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখেন এবং স্থানীয় সিপিআই (এম) ইউনিটে যোগ দেন। তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য পরিচিত, শেখ ২০১২ সালে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

এরপর থেকে ক্ষমতার অলিতে শাহজাহান শেখের মর্যাদা বেড়েছে। ২০১৮ সালে, শেখ সারবেরিয়া অগ্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শেখ উত্তর চব্বিশ পরগনার জন্য ‘মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ’ (মৎস্যচাষের দায়িত্বে) নামে পরিচিত, জেলার মৎস্য উন্নয়নের তদারকি করেন। যা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই তার প্রভাবশালী অবস্থানের প্রমাণ দেয়।