Adhir Chowdhury: দেশের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি, গোরু পাচার ভিডিও মোদীকে দেখিয়েছি, বিস্ফোরক অধীর

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জালে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে ফের বোলপুরে অভিযান চলছে। জেরা করা হবে অনুব্রত…

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জালে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে ফের বোলপুরে অভিযান চলছে। জেরা করা হবে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে। এর মাঝে বিস্ফোরক দাবি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা (Adhir Chowdhury) অধীর চৌধুরীর। তিনি বলেছেন, গোরু পাচারে ভিডিও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখিয়েছি।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, আমরা যারা মুর্শিদাবাদের লোক তারা গোরু পাচার নিয়ে জানি। এগুলোর মধ্যে লুকোচুরির কোনও বিষয় নেই। যারা সীমান্তে বাস করে তাঁরা গোরু পাচারের ঘটনা সম্পর্কে অবগত।

গোরু পাচার তদন্তে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর ফের তদন্তের জন্য উপস্থিত হয়েছে সিবিআই। জালে যেমন তৃ়ণমূল নেতা অনুব্রত। তেমনই বিএসফ আধিকারিক সতীশ কুমার। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও মালদার একাধিক তৃ়ণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা এতে জড়িত বলে মনে করছে সিবিআই।

অধীর চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদের হাজার হাজার বেকার ছেলে পাচার কাজের সঙ্গে জড়িত। সেই পাচার কান্ডকে তারা রোজগারের হাতিয়ার বলে মনে করে। এতে ভারতের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু লোকেদের পকেট ভরে। এই স্মাগলিং যা ভারত বাংলাদেশ জুড়ে চলে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সবিস্তারে অভিযোগ জানিয়েছি। ভিডিও হিন্দিতে অনুবাদ করিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেখাই।

অধীর বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যদি নিয়মিত আমদানি রফতানি হয়, সীমান্ত জুড়ে যদি হাট বসে, সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অবাধ বাণিজ্যের দরজা খুলে দেওয়া হয়, তাহলে এই বাংলার বহু মানুষ স্মাগলারের পরিবর্তে ট্রেডার হিসাবে পরিচয় দিতে পারবে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে গোরু পাচার হয়, সেটা সকলেই জানে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে একবারে কোচবিহার, অসম জুড়ে এই পাচারচক্র চলে বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এতে প্রশাসনের মদতে রয়েছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস সাংসদ।