Malda: খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসতে গিয়েই হল কাল! বিস্ফোরণে গুরুতর আহত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র

মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদার মানিকচক। বোমা বিস্ফোরণে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে মালদার মানিকচকের নারায়ণপুরে। ঘটিনাকে কেন্দ্র করে…

মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদার মানিকচক। বোমা বিস্ফোরণে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে মালদার মানিকচকের নারায়ণপুরে। ঘটিনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে আহত ছাত্রের নাম কৃষ্ণ চৌধুরী। বয়স ১০ বছর। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন কৃষ্ণ।

আহত ছাত্রের বাবা ও মা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। কৃষ্ণরা পাঁচ ভাই-বোন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে রবিবার বিকালে কৃষ্ণ মোষ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে তার জল পিপাসা পেলে সেই নাবালক মোষটাকে একটি গোয়ালঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে সেখানে বসতা যায় কৃষ্ণ। এরপর গোয়ালঘরের খুঁটিতে থাকা একটি ব্যাগ পড়ে যায় এবং এই থেকেই বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ।

   

বিস্ফোরণের পর গুরুতর আহত হয় কৃষ্ণ। বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে ছুঁটে আসেন স্থানীয়রা। নাবালককে উদ্ধার করে দ্রুত মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় মানিকচক থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আহত নাবালক কৃষ্ণ জানায় যে জল খেয়ে খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসতে গিয়েই একটি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেই ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি করে সে। কৃষ্ণ জানায়, “আমার সারা শরীরে আঘাত লাগে। ব্যাগে কতগুলো বোমা ছিল আমার জানা নেই।“

কৃষ্ণর মা জানান খুঁটি থেকে যে ব্যাগ পড়ে যায় তাতে দুটি বোমা ছিল। গোয়ালঘরে কীভাবে বোমা এল তা জানতে রবিবার থেকেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বোম্ব স্কোয়াড এসে তল্লাশি চালায়। কিন্তু বোমা কোথা থেকে এল তার উত্তর এখনও মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। কে বা কারা সেখানে বোমা রেখে গেছিল জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনার পর থেকেই এলাকাটি নিরাপত্তার জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে।