রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা যোগ দিন অগ্নিপথ প্রকল্পে-পরামর্শ দিলীপ ঘোষের

রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic volunteers) কোনও ভবিষ্যত নেই। যে বেতন তাঁরা পান, এই বাজারে যাতায়াতেই তা শেষ হয়ে যায়। তাই নিজেদের ভবিষ্যত গুছিয়ে নিতে যোগ…

Civic volunteers in the state should join the Agnipath project

রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic volunteers) কোনও ভবিষ্যত নেই। যে বেতন তাঁরা পান, এই বাজারে যাতায়াতেই তা শেষ হয়ে যায়। তাই নিজেদের ভবিষ্যত গুছিয়ে নিতে যোগ দিন কেন্দ্রের অগ্নিবীর প্রকল্পে। এমনই পরামর্শ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

তিনি বলেন যারা সিভিক পুলিশের চাকরি করছেন তারা মাসে মাত্র ৮ হাজার টাকা মাইনে পান। এতটুকু টাকা কাজে যেতে আসতেই শেষ হয়ে যায়৷ এদের ভবিষ্যত কি আছে আমার জানা নেই। তবে এখানে মাসে ২৫ হাজার মাইনে পাবেন৷ একইসঙ্গে ভবিষ্যত গড়ারও সুযোগ রয়েছে। তাই সিভিক ভাইদের অনুরোধ আপনারা এগিয়ে আসুন। অগ্নিপথে যোগ দিয়ে নিজেকে অগ্নিবীর করে তুলুন।

এদিকে, কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে। তবুও নিয়ম করে অগ্নিপথ প্রকল্পের গুণগান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির দাবী, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবেই এই প্রকল্প আনা হয়েছে। এবার অগ্নিবীরদের তুলনা করতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দিকে দিকে প্রতিবাদের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখা দেয় দেশের ১২টি রাজ্যে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিহার। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক ট্রেন। নষ্ট করা হয় কোটি টাকার সম্পত্তি। বাংলাতেও একাধিক জায়গায় এই প্রতিবাদে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি।

অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিধানসভায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার দাবি, সেনার নাম ক্যাডার তৈরি করছে বিজেপি। চার বছরের চাকরি চলে গেলে কী হবে, কেউ জানে না। অথচ সবাই বন্দুক চালানোর লাইসেন্স পেয়ে গেল! সারা দেশে আগুন নিয়ে এইভাবে খেলা হচ্ছে। আসলে সেনাবাহিনীর অপমান হচ্ছে।

বিধানসভায় অগ্নিপথের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন ‘আপনি মনে করেন অগ্নিপথ বিজেপির ক্যাডার তৈরি করবে। আপনি যা বলছেন তা যদি বিশ্বাস করেন তাহলে রাজস্থান সরকারকে অনুসরণ করে আপনার ক্যাবিনেট বা বিধানসভায় অগ্নিপথ–এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করুন।’ অবশ্য খোঁচা দিয়ে বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘দিদির যেমন সিভিক পুলিশ, মোদীর তেমন সিভিক মিলিটারি হলে অবাক হব না।’