কাগুজে বাঘ শিব সেনা, গর্জনের জন্য ‘পাওয়ার’ চাই

  ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে মহাবিকাশ আগাধি (অ-বিজেপি জোট) সরকার ৷ যেটা শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও নজির গড়েছিল৷ সেই ঐতিহাসিক ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী,পদে…

 

২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে মহাবিকাশ আগাধি (অ-বিজেপি জোট) সরকার ৷ যেটা শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও নজির গড়েছিল৷ সেই ঐতিহাসিক ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী,পদে উদ্ভব ঠাকরে বসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু চেয়ারের পায়া শক্ত করেছিলেন ৮০ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার৷

শিব সেনার প্রতীক বাঘ। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা পাকিস্তান বিরোধী কিছু গরম কথা আর মারাঠি আবেগের রাজনীতি নিয়ে আসলে তারা বরাবরই কাগুজে বাঘ। কারণ, রাজনৈতিক চাপ খেলে শিব সেনা বারবার পিছু হটেছে।

সেই কাগুজে বাঘ শিব সেনা ফের চাপের মুখে। দলীয় বিধায়কদের নব্বই শতাংশ বিদ্রোহী। চাপের মুখে নরম হয়ে গেছে ঠাকরে পরিবার। প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি শিব সেনার বিদ্রোহীরা এখন ঠাকরে পরিবারের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব মানবেন না বলেই একাট্টা।

এমন অবস্থায় শিব সেনার ভরসা মহারাষ্ট্রে অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা জাতীয়স্তরের জোট রাজনীতির ছলাকলা বোঝা লোক শরদ পাওয়ার। মোদী জমানায় বিজেপির বিরুদ্ধে অপারেশন লোটাস চালিয়ে একের পর এক সরকার ভেঙে দেওয়ার সামনে বারবার শরদ পাওয়ার দাঁড়িয়েছেন। তাঁর পাওয়ার পলিটিক্স তত্ত্ব কখনও কখনও সফল হয়েছে। এর অন্যতম মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিব সেনা জোটের বগলে শিব সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটের সরকার গঠন।রাজনীতির ঐতিহাসিক দূরত্বকে ছুঁড়ে ফেলে শিবসেনা এবং কংগ্রেসকে একই সুতোয় বেঁধেছিলেন বছর

এবারের পরিস্থিতি জটিল। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ সমর্থনে শিবসেনা বিধায়করা জমায়েত হয়েছেন গুয়াহাটিতে। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপির সমর্থনে সরকার গঠন হোক৷ একনাথ শিন্ডে নিজে দাবি করছেন প্রায় ৫০ জন বিধায়ক তার সমর্থনে রয়েছে, এর মধ্যে শুধুমাত্র শিবসেনার রয়েছে ৪০ জনের অধিক। আর চাপের মুখে কাগুজে বাঘ ঠাকরে পরিবারের কর্তামশাই উদ্ভব ইস্তফার প্রস্তাব আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন।

এবার আসরে এনসিপি প্রধান পাওয়ার। শিন্ডে শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শরদ পাওয়ার জানান, আস্থা ভোটেই প্রমাণ হবে কে ক্ষমতায় থাকবে৷ এই মন্তব্যের পর আলোচনা, তিনি কি পাওয়ার পলিটিক্স শুরু করেছেন? শিন্ডে শিবিরে ভাঙন ধরাচ্ছেন?

মহারাষ্ট্রে জোট সরকার রক্ষায় অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন শরদ পাওয়ার। শোনা যাচ্ছে, গুয়াহাটি থেকে শিন্ডে শিবির মুম্বই ফিরলেই আসল খেলা শুরু করবেন শরদ পাওয়ার৷ বিজেপি শরদ পাওয়ারকে হাড়ে হাড়ে চেনে। কারণ, মহারাষ্ট্রে এনসিপি ও কংগ্রেসের নিজস্ব ভোট ব্যাংক কম নয়। বিধানসভায় এনসিপির ৫৩ জন বিধায়ক প্রায় অটুট। তার সঙ্গে আছে পাওয়ার পলিটিক্সের প্যাঁচ।

কাগুজে বাঘের নেতৃত্বে জোট সরকারকে বাঁচিয়ে রাখতে নেমে পড়েছেন পাওয়ার। পাশে আছে কংগ্রেস সহ বাকিরা।