Nandigram: গভীর রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম

নন্দীগ্রাম ( পূর্ব মেদিনীপুর ): আবারও উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! জমি আন্দোলনের স্মৃতি’কে উস্কে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর…

BJP leader house attacked in Nandigram

নন্দীগ্রাম ( পূর্ব মেদিনীপুর ): আবারও উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! জমি আন্দোলনের স্মৃতি’কে উস্কে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর উপর। উল্লেখ্য, এদিন সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা বলে অভিযোগ। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে সরগরম নন্দীগ্রাম। সাদা পোশাকের পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি কর্মী। যদিও এই সমন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

সূএের খবর, বুধবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামে কেশবপুরে বাসিন্দা বিজেপি কর্মী রবীন হালদারের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। গভীর রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর ও বাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সাদা পোশাকের পুলিশের উপস্থিত’তে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

আক্রান্ত বিজেপি কর্মী রবীন হালদার বলেন “পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টের দিকে কিছু লোকজন পৌঁছয় বাড়িতে। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলে। তারপর দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়। আমরা লুকিয়ে গিয়েছিলাম। টেনে বের করে রাস্তায় নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক এসেছিল। সারা রাত ধরে তাণ্ডব চলেছে।বিজেপি করি বলে এই অত্যাচার। আমাদের আর কোনও দোষ নেই ।”

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন ” অভিযোগ একেবারে সত্যি। এক সদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে মিলেই তৃণমূল যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন।”

তৃণমূল নেতা-নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন ” বিজেপি সবসময় মিথ্যাচার করছে। বাংলার মানুষের গায়ে কালি লাগানো হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ” নন্দীগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন ” এরকম অভিযান কোথাও চালানো হয়নি “।

বুধবার বিকালে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মী অশোক দাস ও ভরত দাস’কে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা ছুঁটে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিয়ুক্তরা। এঁদের মধ্যে আহত অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। রক্তাক্ত জখম দু’জন’কে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম – তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম থানা ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় একজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।