Murshidabad: হাজার হাজার টিয়াপাখি আগলে রাখেন চাঁদ মিঞা, শিকারীরা ভয় পায়

ট্যাঁরা চোখে তাকায় টিয়া…! গাছের নিচে একটা লোক দিনরাত ঘুরঘুর করে। ওর ভয়ে পাখি শিকারীরা আসেনা। শতাব্দী প্রাচীন গাছ থাকা টিয়ার দলবল উপর থেকে চোখ…

ট্যাঁরা চোখে তাকায় টিয়া…! গাছের নিচে একটা লোক দিনরাত ঘুরঘুর করে। ওর ভয়ে পাখি শিকারীরা আসেনা। শতাব্দী প্রাচীন গাছ থাকা টিয়ার দলবল উপর থেকে চোখ টেঁরিয়ে দেখে।  হাজার হাজার টিয়া পাখি আগলাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) চাঁদ মিঞা। পাখি যাতে চুরি না হয়ে যায় তাই সকাল থেকে রাত শিরিষ গাছে চোখ পেতে বসে আছেন তিনি।

চাঁদ মিঞার এই ধরনের পক্ষীপ্রেমকে স্বীকৃতি দিয়েছে বনদফতর। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে শিরিষ গাছের গায়ে। তাতেই খুশি মুর্শিদাবাদের নওদার মিঞা।

   

মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকার কুঠি পাড়ায় চায়ের দোকান চালাতেন চাঁদ মিঞা। তার সেই চায়ের দোকানের পাশেই আছে বিট্রিশ আমলের শিরিষ গাছ। চাঁদের জোয়ান বয়স থেকেই ওই শিরিষ গাছে টিয়া পাখির আনাগোনা। দোকান চালাতে চালাতে পাহারা দিতেন মিঞা। ইদানিং বয়েসের ভারে দোকানে আর বসেন না তিনি। পাখি পাহারায় কামাই নেই। 

অসাধু পাখি ব্যবসায়ীদের হাত থেকে পাখিদের বাঁচাতে তার এই প্রয়াস দেখে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বন দফতর। শিরিষ গাছের গায়ে টাঙানো হয়েছে ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের নোটিশ।  চাঁদ মিঞা বলছে, গাছে উঠে, পাখি পেড়ে কাউকে দিয়ে দেয় বা বিক্রি করে। পুলিশের নোটিশ বোর্ড দেখে অনেকে ভয় পেয়ে আর কিছু করছে না।‌

শিরিষ গাছের ডালে টিয়াপাখি কুঠিবাড়িতে বিখ্যাত। ২০০০ সাল থেকে ২০০০ পাখি আগলে রাখেন চাঁদ মিঞা। চাঁদ মিঞা নওদাবাসীতে বিখ্যাত। শিরিষ গাছ অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে মানুষদের। আর সেই গাছেই প্রায় ২০০০ টিয়া পাখিকে আগলে চাঁদ মিঞা হয়ে উঠেছেন ওদের বৃক্ষ।