গোরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) তলব করেছিল সিবিআই। টানা চার ঘন্টা নিজাম প্যালেসে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে এল অনুব্রত ঘনিষ্ট ২২ জনের জবানবন্দি। গোরু পাচার চক্রে ৭০০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে সায়গালের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। তার নামে বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ।
এর আগে সায়গলকে ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগ, অনুব্রতর কিছু সম্পত্তি সায়গালের নামে রয়েছে বলে জানা যায়। একজন দেহরক্ষীর এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কীভাবে এল তা থেকেই সন্দেহ জাগে গোয়েন্দা কর্তাদের।
মুর্শিদাবাদে ৬ বিঘা জমির ওপর বানিয়েছেন প্রাসাদোপম বাড়ি। একজন কনস্টেবল এবং অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হয়ে কিভাবে এত বড় অট্টালিকা বানালেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন সিবিআই কর্তারা। ডোমকলে যে পরিমাণ জমি সায়গল কিনেছে তার মূল্য আনুমানিক ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। সবটাই কেনা হয়েছে ৮ থেকে ৯ মাস আগে।
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত সায়গল হোসেনের বাড়ি ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর বাবাও পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে যে সম্পত্তির পরিবর্তন হয়েছে, তাতে সিবিআই কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ।
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গালের আয়ের সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর আগে এই মামলায় বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উঠে আসে গোরু পাচার চক্রের মূলচক্রী এনামুল হকের নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল হকের কল লিস্টে সায়গালের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের হদিশ মিলেছে। এরপর অনুব্রত ঘনিষ্ট একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বিপুল আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে।