রাজ্যপালকে কোচবিহার যেতে নিষেধ করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা জনিত কারণে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (C V Ananda Bose) লোকসভা ভোটের সময় কোচবিহারে যেতে মানা করেছে কমিশন। ইমেল পাঠিয়ে রাজভবনে একথা জানিয়েও দিয়েছে কমিশন। শুক্রবার কোচবিহারে ভোট রয়েছে। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ভোট চলাকালীন কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে এলাকার পরিস্থিতি।
তবে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের সময় রাজ্যপাল কোচবিহারে থাকলে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে। তাই তার এই সফরে অনুমতি দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। রাজভবনের তরফে এর আগে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহারের জন্য রওনা হবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার রাতে সেখানে ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি কলকাতায় ফিরবেন। এই সফরসূচিই নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলখুচিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। তারপর থেকে বহুবার হিংসা ছড়িয়েছে কোচবিহারে। কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর ঝামেলার কথা কারও অজানা নয়। লোকসভা ভোটের আগে এবারও অশান্তির ঘটনা চোখে পড়ছে কোচবিহারে, কোথাও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, তো কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল।
সেই কারণেই ভোটের দিন কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল বোস। তবে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপালকে কোচবিহার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে রাজ্যপালের সফরসূচির বিষয়টি সামনে আসতেই তাঁকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের নেতা কুণাল ঘোষের কথায়, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন উনি। রাজ্যপাল ওখানকার ভোটার নন, নির্বাচন কমিশনেরও কেউ নন। কী কারণে উনি ওখানে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল।
লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে অন্যতম আলোচিত আসন এই কোচবিহার। এখানে বিজেপি বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিককে টিকিট দিয়েছে। আর তৃণমূল প্রার্থী করেছে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে। অন্য দলের প্রার্থীরা থাকলেও এই কেন্দ্রে মূল লড়াই হবে নিশীথ ও জগদীশের মধ্যে। এর আগে ২০১৯ সালে কোচবিহার থেকে মাত্র ৫৪০০০ ভোটে জিতে সাংসদ হন নিশীথ।