Burdwan: মৃতদেহ নিয়েও দুর্নীতি, দমনে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবকের দল

মৃতদেহ। তা নিয়েও চলছে দুর্নীতি। ডোমেরা চাইছে বিপুল টাকা। না দিলে ছাড়া হবে না দেহ। সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে নেমেছে বর্ধমানের (Burdwan) পাল্লা রোড পল্লিমঙ্গল…

volunteers has come to fight corruption

মৃতদেহ। তা নিয়েও চলছে দুর্নীতি। ডোমেরা চাইছে বিপুল টাকা। না দিলে ছাড়া হবে না দেহ। সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে নেমেছে বর্ধমানের (Burdwan) পাল্লা রোড পল্লিমঙ্গল সমিতি।

তাঁরা জানাচ্ছেন, “মাস খানেক বলেছিলাম মৌচাকে ঢিল নয় একদম ভেঙ্গে ফেলেছি মোচাক , মর্গে ডোমেদের তোলাবাজি বন্ধ , কিন্তু বাস্তবটা হল আলাদা, সত্যি কথায় কষ্ট নেই তাই সত্যি টা শেয়ার করছি এই মাসের প্রথম দিকেও টাকা নিয়েছে তারা, পরিবর্তন যেটা হয়েছে ৫০০০ থেকে কমে ৫০০ তে নেমেছে তাদের তোলাবাজির অঙ্ক , কিন্তু সেটাই বা কেন নেওয়া হবে ? ৫০০ টা বেড়ে আবার কখন ৫০০০ হয়ে যাবে আপনি ধরতেই পারবেন না! তাই গোড়ায় গলদ না ঠিক করলে খুব সমস্যা।অগত্যা আমাদের দেওয়া সাহস নিয়ে ৩জন মৃতের পরিবার মর্গে তোলাবাজি নিয়ে আবার অভিযোগ জানালেন জেলাশাষকের কাছে”।

তাঁদের কথায়, “কিন্তু সমস্যা তৈরী হল মেডিকেল সুপার আর প্রিন্সিপ্যালের অফিসে অভিযোগ জমা করতে গিয়ে, একদিকে বোর্ড লাগিয়ে তারা বলছেন হাস্পাতাল নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে জানাও আর অপরদিকে অভিযোগ দিতে গেলে না নেওয়ার অজুহাত ! এ কেমন কথা ! অগত্যা মানবাধিকার সুরক্ষা সংগঠন এর সদর দক্ষিণ মহকুমার সচিব হিসাবে আমি পুরো ঘটনা আমার লেটার হেডে লিখে জানালাম মেডিকেল সুপার ও প্রিন্সিপ্যাল কে, অনুরোধ করলাম ব্যবস্থা গ্রহণের , তারা মৌখিক আশ্বাস দিলেন কঠোর ব্যবস্থা নেবেন এইব্যাপারে …. কয়েক দিন পর আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানলাম তোলাবাজি বন্ধে আমুল পরিবর্তন আনছে মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ, এইবার আর ডোম নয় , পরিবার কে দেহ হস্তান্তর করবে পুলিশ ও হাস্পাতালে র প্রতিনিধি , এইবার দেখা যাক বন্ধ হয় নাকি তোলাবাজি।

তৃতীয়বার আর অভিযোগ নয় সরাসরি বিচার ব্যাবস্থায় নিয়ে যাব এই রকম কাজ হলে , সরকারী অফিস কারুর বাবার সম্পত্তি নয়, সেখানে কোনো রকম তোলাবাজি বা লুঠ চলবে না , অভিযোগের পর অভিযোগ করুন , জেলা স্তরে কাজ না হলে রাজ্যস্তরে করুন , সেখানে না হলে বিচারব্যবস্থায় যান কিন্তু প্রতিবাদ না করলে শেষ হয় যাবেন , আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম জন্মানোর আগেই হেরে যাবে।”