তারকেশ্বরের জন্য পৃথক মাস্টার প্ল্যান, বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চা

বানভাসী সাধারণ মানুষ। ঘর বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলের তলায় (West Bengal Flood Situation)। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া যে দিকে তাকানো যায় চিত্রটা…

BAPPA1 তারকেশ্বরের জন্য পৃথক মাস্টার প্ল্যান, বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চা

বানভাসী সাধারণ মানুষ। ঘর বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলের তলায় (West Bengal Flood Situation)। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া যে দিকে তাকানো যায় চিত্রটা কার্যত এক। ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।

হুগলির তারকেশ্বরের তালপুর, সন্তোষপুর, কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতের পাত্রপাড়া, দেবীপুর, নচিপুর, কানারিয়া, উত্তরপাড়া এলাকায় প্রায় চারশো থেকে সাড়ে চারশোরও বেশি পরিবারের বসবাস। বুধবার থেকে জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে তাদের। প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ নচিপুর, কানারিয়ার গ্রামের বাসিন্দাদের।

   

গতকাল অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর গলা অবধি জল ছিল এই এলাকায়। তবে আজ অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর এই পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়েছে। তবে কোমর পযন্ত জল আছে এলাকায়। এলাকার পুরুষরা জল পেরিয়ে অন্য গ্রাম থেকে পানীয় জল বা পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করছেন নিজেরাই। তবে প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব মান্না বলেন, “আমাদের খাবার নেই। জল নেই। দেখুন না কী অবস্থা। মানুষ যে যাতায়াত করবে, নৌকা ব্যবহার করবে তাও নেই। প্রশাসনের দেখা নেই। আমাদের একটু ত্রাণের ব্যবস্থা তো করতে পারে? কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না।”

অপরদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার (BJP) রাজ্য কমিটির সদস্য বাপ্পাদিত্য ঘোড়ুই এর উদ্যোগে নচিপুর, সন্তোষপুর এলাকার প্রায় দু’শো বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের হাতে জলের বোতল, খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতার দাবি, স্থানীয় প্রশাসন সারা বছর ঘুমোয় আর বন্যার সময় তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করে কখন কেন্দ্রীয় তহবিল আসবে আর তাতে দুর্নীতির সুযোগ পাবে। তাঁর দাবি, “যবে থেকে তৃণমূল ক্ষমতায় আছে, খাল সংস্কার করা হয় না। তালপুর, চাপাডাঙ্গার জল নিকাশি ব্যবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নয়ন হয়নি। বাঁধ মেরামতের জন্য বরাদ্দ টাকা পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢোকে। পঞ্চায়েত, পৌরসভা, বিধায়ক ও সাংসদদের দেখা নেই। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন,পুজোর মুখে কর্মহীন। কোথায় যাবে এঁরা? প্রশাসনের কাছে এর কোনও উত্তর নেই। এমন অকর্মণ্য প্রশাসক গোটা দেশে কোথাও নেই। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু পাচ্ছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।” ২০২৬ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তারকেশ্বরের জন্য পৃথক একটি মাস্টার প্ল্যান বিজেপি করবে বলে জানিয়েছেন বাপ্পাদিত্য।