লক্ষাধিক শিক্ষক চাকরি প্রার্থীদের BJP বুথ সভাপতি করার পরামর্শ শুভেন্দুর

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মমতা সরকার বিপর্যস্ত। আদালতে দোষী মন্ত্রীর কারণে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের।তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি শিক্ষা বিষয়ক প্রশাসনিক কর্তারা সিবিআই সন্দেহ তালিকায়। শাসক…

Suvendu Adhikari

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মমতা সরকার বিপর্যস্ত। আদালতে দোষী মন্ত্রীর কারণে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের।তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি শিক্ষা বিষয়ক প্রশাসনিক কর্তারা সিবিআই সন্দেহ তালিকায়। শাসক দলের নেতাদের দুর্নীতিতে যোগ্য হয়েও চাকরি না পেয়ে অপেক্ষায় কয়েক লক্ষ যুবক যুবতী। এই চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে ভেঙে পড়া বিজেপির (BJP) সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কাজে লাগানোর জন্য দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধী দলনেতা বলেন, কথায়, বেকার ভাই বোনেরা জোট বাঁধুন। তৈরি হোন। আমি আমার মণ্ডল সভাপতিদের বলব, বুথ সভাপতিদের খুঁজে বের করুন। ওই গ্রামে গিয়ে এসএসসি কে দিয়েছিল? কারা টেট পাশ করে পিটিআই থাকার পরেও চাকরি পায়নি? যারা ১১ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে বঞ্চিত হয়েছে। তাদেরকে বুথ সভাপতির দায়িত্ব দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে থাকলে প্রকৃত যন্ত্রণাটা কি যিনি ভুক্তভুগী তিনি বুথের লোকেদের বলতে পারবেন।

পড়ুন: Utshasree: মমতা সরকারের উৎসশ্রী জোয়ারে ভাসছেন শিক্ষকরা, ডুবছে একাধিক স্কুল

শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র খারাপ বিবৃতি নয়, কুৎসিত মানসিক কথার প্রতিফলন। এই বক্তব্যের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অগ্নিপথ প্রসঙ্গে মন্তব্যের সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অগ্নিপথের পর কী করবে। তখন তিনি বলেছিলেন বিজেপির পার্টি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী হিয়াবে কাজ দিতেই পারি। এখন শুভেন্দু বলছেন যারা চাকরির জন্য আন্দোলন করছেন, তাঁদেরকে বিজেপি বুথে এজেন্ট হিসাবে কাজে লাগানো হবে। তিনি বল্ন,সরকার চাকরি দিতে চাইলে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম আইনি জটিলতা তৈরি করে নিয়োগে বাধা দিচ্ছে।

বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দেগেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, চাকরী প্রার্থীদের বক্তব্য আমরা যারা চাকরি পাইনি, বঞ্চিত, লুঠেক শিকার হয়েছি, এর দায় তৃণমূলের। এই তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এখন দাবি করলে হবে? এই বেআইনি দুর্নীতিযুক্ত চাকরিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য উত্তসুরী শুভেন্দু অধিকারীরা কাজ করেছেন। তৃণমূলের বাহিনী নিয়েই তো বিজেপি। ফলে তারা বুঝতে পারছে বিজেপি হোক, তৃণমূল হোক, কাজের কাজ কিছু হবে না। মানুষের কাজ কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত যতটুকু হয়েছে, বামফ্রন্টের আমলে হয়েছে।