বুধবার বাঁকুড়ায় কর্মসূচি ছিল বিজেপির (Bengal BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই তোরজোড় শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়রা (Locket Chatterjee)। খবর পেলেন সেই কর্মসূচি মঙ্গলবার হয়ে গেছে। মূল আকর্ষণে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাতে বেজায় চটেছেন দুই সাংসদ।
মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঁকুড়ায় সভা ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষের৷ তাই বুধবার নিজেদের বাকি কর্মসূচিও বাদ দিয়েছিলেন তাঁরা৷ অথচ তাঁদেরকেই বাদ দিয়ে কী করে কর্মসূচি করা হল? তবে বিজেপিতে দিলীপ ঘোষকে ব্রাত্য রাখার প্রয়াস এখনও কী জারি রয়েছে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
যদিও বিজেপি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, দলের নীচু তলার কর্মীদের কাছে দিলীপ ঘোষের গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য নেতাদের থেকে বেশী। যেটা বাংলার দায়িত্বে থাকা নেতাদের একবারেই নাপসন্দ। সেই গোষ্ঠীর গাত্রদাহের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কথায়, ১৫ তারিখ আমার বাঁকুড়ায় কর্মসূচি ছিল। শুনলাম, সেটা ১৪ তারিখই হয়ে গিয়েছে। আমাকে আগে কিছু জানানো হয়নি। জেলা নেতৃত্বই এই বিষয়ে যা বলার বলতে পারবেন।
অন্যদিকে এ রাজ্যে মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি কর্মসূচির আহ্বায়ক লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে বাদ রেখে কীভাবে কর্মসূচি করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন এবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।
গোটা বিষয়টি ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই মুরলীধর সেন লেনের কোর্টে বল ঠেলে দিচ্ছেন জেলার নেতারা। তবে ছাড়ার পাত্র নয় দিলীপ ঘোষ। শোনা যাচ্ছে, আজ বিধানসভায় উপস্থিত হতে পারেন তিনি।