BJP: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে

বাঁকুড়াঃ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মোদির বঙ্গ সফরেই মাঝেই বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ…

বাঁকুড়াঃ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মোদির বঙ্গ সফরেই মাঝেই বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এলো। বাঁকুড়া শহরের ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত মাচানতলায় শনিবার ডাঃ সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) ছবিতে কালী দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সঙ্গে দলীয় পতাকা হাতে ‘অপদার্থ সুভাষ সরকার দূর হটো’, ‘তৃণমৃলের দালাল সুভাষ সরকার দূর হটো’ আর ‘আপনাকে মানছিনা’ বলেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রথমবার গত ১২ সেপ্টেম্বর শহরের নতুনগঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি থেকে ‘বহিস্কৃত’দের একাংশ। তারপর সেই সময় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুভাষ সরকারের বিরোধীতা করে পথে নেমেছিলেন দলেরই নেতা কর্মীদের একটা অংশ। তারপর অতি সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার ‘ভাইরাল’ অডিও ক্লিপে ডাঃ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গেছে। এমনকি ওই ‘ভাইরাল’ অডিও ক্লিপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ‘তোলাবাজ’ বলেও উল্লেখ করতে শোনা গেছে।

এদিন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল কৌশিক সিং নিজেকে দলের ‘প্রাক্তন বিধানসভা কনভেনর’ দাবি করে বলেন, উনি সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বিজেপি কর্মীদেরও পাশে দাঁড়াননি। ‘চামচা’দের নিয়ে দল পরিচালনার জন্য প্রতিটি নির্বাচনে আমরা হারছি। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়া ১৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছেন। ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন থেকে বাঁকুড়ার মানুষ বঞ্চিত। এছাড়াও ডাঃ সুভাষ সরকার ও অমিতাভ চক্রবর্ত্তী ‘সিণ্ডিকেট রাজ’ কায়েম করেছেন। তাঁদের ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে বিজেপি থেকে বহিস্কার করা হলেও দলের অনুগত সৈনিক ও বর্তমান সাংসদ ও জেলা সভাপতিকে সরালে দলের লাভ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

এবিষয়ে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল ‘বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন’।