Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদলের অভিযোগের জবাবে ‘বিস্ফোরক’ শুভেন্দু

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Corruption in Recruitment Process) এবার বিরোধীদের পাল্টা চালে মাত করতে প্রস্তুত হয়েছে শাসক পক্ষ৷ বৃহস্পতিবার প্রথমে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) নাম শোনা যায়৷

Suvendu Adhikari, the Leader of BJP in West Bengal

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Corruption in Recruitment Process) এবার বিরোধীদের পাল্টা চালে মাত করতে প্রস্তুত হয়েছে শাসক পক্ষ৷ বৃহস্পতিবার প্রথমে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) নাম শোনা যায়৷ এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেও একই সুর৷ এদিনেই পাল্টা জবাব দিতে নেমে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা।

তাঁর কথায়, প্লটটা রেডি হয়েছে গতকাল। দেবাশিস চক্রবর্তী, যিনি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। তার ফোন নম্বর হচ্ছে ৯৪৩৪৪৮৯৫৬৩ ও ৯৫৯৩৬৭৫৬৬৫। আমরা দাবি করছি, ৩০ মিনিট আগে যিনি টুইট করেছেন। সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা মাল, সারদার মাল। সেই মালটাকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক আর দেবাশিস চক্রবর্তীকে ধরুক। ওর ফোন নম্বরগুলো আমি দিয়ে দিলাম। ও হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা বলেছে খুঁজে বার করুন।

এরপরেই তিনি বলেন, গতকাল বিকেল ৪টে থেকে ৪টে ১৫ পর্যন্ত দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী ছিলেন। একজন মহিলা আইনজীবী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে ছিলেন আর দেবাশিস চক্রবর্তী ছিলেন। ওই সময় প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক। ওর ২টো মোবাইল ফোন নিয়ে নিক। আর সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা মাল টুইট করার তথ্য কোথা থেকে পেল, যার সঙ্গে ৩০ মিনিট পরে ৮ মাসের জেল খাটা মালটার তথ্য মিলে গেল সেটা মিলিয়ে নিলেই সব স্পষ্ট হবে। এসব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।

প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময়েই তিনি বলেন, পরিস্কার ভাষায় বলছি, যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ বাবু, শুভেন্দু বাবুরা বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। ২০০৯-১০-এর ক্যাগ রিপোর্ট দেখুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন। আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না। আমি নিয়োগ কর্তা নই। এ ব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ২০১১-১২ সালে কী করেছিল দেখুন না। ডিপিএসসি-তে কী করেছিল দেখুন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ যখন তুলছেন, তার আগে টুইট করে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি?
তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।