পুলিশের অত্যাচারে ভিডিও পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভগবানপুর: ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগরে এক্তারপুরে এক বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ আনল বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপির অভিযোগ, ভগবানপুর বিধানসভার জুখিয়া গ্রাম…

Suvendu Adhikari in EC office

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভগবানপুর: ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগরে এক্তারপুরে এক বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ আনল বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপির অভিযোগ, ভগবানপুর বিধানসভার জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সমর্থকের বাড়িতে পুলিশ বাহিনী দিয়ে শিশু ও মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।

শুধু তাই নয়, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের নেতৃত্বে মহিলাদের উপর কিভাবে দুর্ব্যবহার করছেন, সেই ভিডিও এক্স সেণ্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তপশিলি পরিবারের সদস্যদের উপর খারাপ ব্যবহার করছেন, পাশাপাশি বাড়ি রান্না করা খাবার নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷

সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের এমন ব্যবহারে ভিডিও এনে আসরে নেমে পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির অভিযোগ, ভগবানপুর বিধানসভা ভূপতিনগর থানার এক্তারপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী অনুপ দেবনাথের বাড়িতে হাজির হয় ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অনুপ দেবনাথ বাড়িতে উপস্থিত না থাকলেও পরিবারের মহিলা সদস্য ও শিশুদের পুলিশি দুরব্যবহার করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বাড়ি রান্না করা খাবার নষ্ট করে দেয়। পুলিশের এই দুরব্যবহার এই ভিডিও সামনে এনে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

ভগবানপুরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “বাংলার মানুষের দুর্ভাগ্য। এই রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, একজন পুলিশ আধিকারিক গোপাল পাঠক (ভূপতিনগর থানার ওসি) কিভাবে মহিলাকে ধমক দিচ্ছে। কিছুদিন আগে কাজের যোগদান করেই, তৃণমূলকে বাঁচানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। শান্ত এলাকায় অশান্ত করে তুলছে৷”

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “ভূপতিনগরে বিস্তীর্ণ এলাকায় শিশু ও মহিলাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন পুলিশ। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পুলিশকে হুঁশিয়ারি সুরে বলেন পৃথিবীটা গোল, সেদিন হয়তো তৃণমূল থাকবেন না, আপনি থাকবেন! ভূপতিনগরের তৃণমূল আর বাঁচবে না। আপনিও পারবেন না৷”

যদিও সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, “বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায় যদি ঠিক হয়! তাহলে আমার মনে হয়, যে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে, সারা বিধানসভা একজন হয়তো বিজেপি কর্মী রয়েছে। যে অন্যায় করবে, দুর্নীতি করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷”

কাঁথি সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরের থেকেই বিধানসভায় ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বিজেপির দুষ্কৃতীদারা আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূল কর্মীরা ঘর ছাড়া রয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে বাড়ি ফেরানোর জন্য। বাড়ি ফেরানোর পর বিজেপি দুষ্কৃতিরা তাণ্ডব চালিয়ে বাড়িছাড়া করছে৷”