হারার ভয়ে মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা ভুলেছেন মমতা: রাহুল

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুটি হাইভোল্টেজ সভার সাক্ষী থাকতে চলেছেন বাংলার মানুষ।…

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুটি হাইভোল্টেজ সভার সাক্ষী থাকতে চলেছেন বাংলার মানুষ। এদিন মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে দুজনেই উত্তরবঙ্গে সভা করতে চলেছেন।

এদিকে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা প্রসঙ্গে বড় দাবি করলেন বঙ্গ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “যখন বড় বৈঠক চলছে, তখন একসঙ্গে আর অন্য কোনও বৈঠক হওয়া উচিত নয়। কিন্তু হেরে যাওয়ার ভয়ে সব মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা ভুলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” তিনি তার মাকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন, যার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, এটা খুব স্পষ্ট, তিনি সবকিছু কিছু করতে পারেন। মানুষ এটা নিয়ে ভাববে। তদন্ত তার বিরুদ্ধে যাচ্ছে এবং এর ফলাফল তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।”

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর আজ বাংলা ও বিহারে মোদীর প্রথম জনসভা হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নির্বাচনী প্রচারকে আরও তীক্ষ্ণ করবেন বলে মনে হচ্ছে। দুপুর ১টা নাগাদ কোচবিহারে সভা করার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর, এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। বুধবার নমো অ্যাপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে বাংলায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল হিংসা এবং বিজেপি রাজ্যে কী ঘটছে তার উপর নজর রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় ইস্যু হিংসা। জনগণের নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাবলীর দিকেও আমরা নজর রাখব। প্রধানমন্ত্রী কর্মীদের বলেন, এখন আপনাদের নির্ভয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে।’