Birbhum: তীর ধনুক নিয়ে দেউচার আদিবাসীদের দেখে রণে ভঙ্গ শুভেন্দুর

বীরভূমের দেউচা পাঁচামি প্রাস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় গিয়ে আদিবাসীদের ঘেরাটোপ থেকে ফিরতে হলো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকাম্ত মজুমদার সহ প্রতিনিধি দলকে।…

বীরভূমের দেউচা পাঁচামি প্রাস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় গিয়ে আদিবাসীদের ঘেরাটোপ থেকে ফিরতে হলো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকাম্ত মজুমদার সহ প্রতিনিধি দলকে।

দেউচা আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা যাবে না। এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মিছিলে নামে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর জমি-জঙ্গল-জীবিকা নিয়ে কোনওভাবে রাজনীতি করতে দেব না এই ইস্যুতে মিছিলে নামে দেউচা-পাঁচামি অন্তর্ভুক্ত আদিবাসী সম্প্রদায়।

   

শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির মিছিল মথুরাপাহাড়ি পৌঁছতেই কালো পতাকা এবং তীরধনুক নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন আদিবাসীরা। পরিস্থিতি বুঝে ফিরতে হলো বিজেপিকে।

এই এলাকায় কয়লা খনি গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ ঘিরে স্থানীয় আদিবাসীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি করতে গিয়ে সরকারি প্রতিনিধি ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আদিবাসীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে এসেছিলেন।

এবার বিরোধী দল বিজেপিকে ঢুকতে দিল না জেলার মহম্মদপুরের দেউচার আদিবাসীরা। যদিও এই এলাকায় সিপিআইএম প্রতিনিধি বেশ কয়েকবার গেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন আদিবাসীরা।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল দলীয় কর্মসূচি থেকেই দেউচায় মিছিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন চলাকালীন দেউচায় গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেবার বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁদের অনুমতি থাকলে তবেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলনে যোগ দেবে। এমনকি আন্দোলনকারীদের ব্যানারেই কর্মসূচি চলবে বলেও দাবী করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে আন্দোলনকারীদের তরফে কোনও বার্তা মেলেনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল করে বিজেপি। মিছিল কোনভাবেই যাতে না গ্রামে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য বিজেপি-র মিছিল শুরু হওয়ার আগেই বিক্ষোভমুখী হয় মথুরাপাহাড়ি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়। আন্দোলন মঞ্চ থেকেই কালো পতাকা নিয়ে, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করে তাঁরা। একইসঙ্গে অস্ত্র তীর-ধনুক নিয়ে মিছিল করে। মিছিল থেকে বিজেপির দুই নেতাকে দালাল বলেও কটাক্ষ করেন তাঁরা।