২৪ এর নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন যথেষ্ট রয়েছে, বুধবার চেন্নাই সফরের আগে একথাই তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বক্তব্যের পরেই চেন্নাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের বাসভবনে সাক্ষাৎকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আঞ্চলিক দলগুলি নির্বাচনের আগে একজোট হলেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্যে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, মমতা-স্ট্যালিন বৈঠক করলেও খুব একটা কোনও লাভ হবে না।
আজ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ২০১৯ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে ডায়লগগুলি মনে আছে আপনাদের? কী বলেছিল বিজেপি একটাও সিট পাবে না। মোদি হটাও দেশ বাঁচাও। তারপরে মোদি ৩০৩ সিট পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টা সিট পেয়েছিলাম। তখন লালু-মুলায়ম-শিবসেনা অনেকেই সঙ্গে ছিলেন যাদের রাজনীতিতে এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
একইসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদের মন্তব্য, দেখুন বৈঠক করে সমাধান হবে না। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে হবে। দিলীপ ঘোষের দাবি, সব জায়গায় যদি রাজনীতি খুঁজতে গেলে, সব জায়গায় ভোট দেখতে গেলে দুরবস্থা হবে। এখন যেটা হয়েছে। তাঁর দাবি তৃণমূল সরকার এখন দিশেহারা। কী করবে বুঝতে পারছে না। তাও বলছেন মোদি হটাও। তার জন্য স্ট্যালিনের কাছে যেতে হবে। মমতা-স্ট্যালিনের সাক্ষাৎকারকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেছেন, “স্ট্যালিন তো রাস্তা দেবেন না, টাকাও দেবেন না, টাকা কেন্দ্র সরকার দেবে। তাই সেই টাকা সৎ ব্যবহার হওয়া উচিত”।
একাধিক স্তরে দুর্নীতিতে রাজ্যের শাসক দল যে বেশ কিছুটা বেসামাল তা বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে বিরোধীরা। এবিষয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, অনেককেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে যদি ডাক আসে। বহু নেতা-নেত্রী আছেন যারা এভাবে টাকা সংগ্রহ করেছেন তার উৎস কোথায় তাদের কাছে সদুত্তর নেই। যেরকম যেরকম জিজ্ঞাসাবাদ করবে সেরকম তথ্য সামনে আসবে।
গতকাল স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্ট্যালিন আমার ভাইয়ের মতো। এই কর্মসূচি আগে থেকে ঠিক ছিল না। রাজ্যপালের এক পরিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। সেইজন্যই আমার এখানে আসা। কিন্তু এখানে এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা না করে কীভাবে যেতে পারি!