সাংসদ ও বিধায়ক আক্রান্তের প্রতিবাদে মমতার কুশপুতুল দাহ বিজেপি-র

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করল বিজেপি (BJP) জেলা নেতৃত্বরা। অবরোধ ও বিক্ষোভ…

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করল বিজেপি (BJP) জেলা নেতৃত্বরা। অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা।

Advertisements

সোমবার উত্তরবঙ্গে বন্যা বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন মালদা কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতিদের দাঁড়ায় সাংসদ ও বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি নেতৃত্বরা। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে কাঁথির খড়গপুর বাসস্ট্যাণ্ডে রাস্তা অবরোধ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুশপুতল দাহ করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচিদের সামিল হন বিজেপি নেতৃত্বরা।

   

১ ঘন্টা ধরে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা। অবরোধ জেরে ব্যাপক যানজট হয়। ঘটনার খবর পেয়ে কাঁথি থানায় আইসি প্রদীপ কুমার দাঁ সহ পুলিশ কর্মীরা। এদিন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিল দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ কুমার দাস, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল, সহ সভাপতি অসীম মিশ্র, জেলা সহ সভানেএী মুনমুন দাস, জেলা সম্পাদক নবীন প্রধান, কাঁথি ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির উমেশ প্রধান, কাঁথি পুরসভা দুই কাউন্সিলর সহ বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “এ রাজ্যে পুলিশ, প্রশাসন ও আইন নেই। স্বাধীনতার পর সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনায় কেউ কোথাও দেখেনি। নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়ক ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে জিহাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পেছনে রাজ্য প্রশাসনের মদত রয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ মানুষ যদি আইন শৃঙ্খলা হাতে তুলে নেয়, পুলিশ ও মমতা বন্ধোপাধ্যায় সেই দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। সারা ভারতবর্ষে এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আগে কখনোও দেখেনি৷”

দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস বলেন,” উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের কোন অস্তিত্ব নেই। বিজেপি নেতাদের আক্রামন করেছে। পুলিশ প্রশাসনকে বসিয়ে রেখে, ওখানকার ভোটারকে ভয় দেখানোর জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই নিন্দনীয় ও বর্বর আক্রমণ৷”