জয়ীদের ধরে রাখাই ‘মুশকিল’ মানছে বিজেপি, বিশ্লেষণে স্পষ্ট গ্রামাঞ্চলে মমতার প্রতিপক্ষ বাম

জয়ী প্রার্থীদের বড় অংশ তৃণমূলে যাওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি শিবির। পঞ্চায়েতে দ্বিতীয় কি বাম? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির উত্তরবঙ্গে সফলতা তেমন নেই।…

জয়ী প্রার্থীদের বড় অংশ তৃণমূলে যাওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি শিবির। পঞ্চায়েতে দ্বিতীয় কি বাম? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির উত্তরবঙ্গে সফলতা তেমন নেই। আর দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির সাথে বাম জোটের বড় টক্কর হয়ে গেছে। তবে সব ছাপিয়েও প্রশ্ন,আদৌ বিজেপি কে ধরে রাখতে পারবে নিজেদের শক্তি? বিশ্লেষণেই উঠে আসছে দলের জয়ী প্রার্থীদের বড় অংশ যে তৃ়ণমূলে যাবে তা ধরেই নিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

পঞ্চায়েত ভোটে বাম শিবির চাঙ্গা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ভোটে ভেঙে পড়া বাম শক্তিতে একটা বড়সড় খুঁটি দিলেন গ্রাম বাংলার জনগণ। সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়েছে সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি ছেড়ে যত তৃণমূলে গমন হবে তত সেই জায়গা ভরাট করবে বাম অথবা তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণে সংখ্যার বিচারে তৃতীয় হলেও বাম শিবির রাজ্যে মূল বিরোধীপক্ষ হিসেবে উঠে আসল।

   

শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও মনে করছেন বিজেপি নয় বামপক্ষ মূল প্রতিপক্ষ। ২০১১ সালের পর এই প্রখমবার বাম জোট টক্কর দিয়েছে ভোটে। তৃণমূলের বিশ্লেষণে উঠে আসছে পুরনির্বাচনে বাম শিবির হয়ে গেছে মফস্বলে বড় বিরোধী শিবির। গ্রামাঞ্চলে বিজেপি ভেঙে আসার সংখ্যা বেশি হবে। এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটের সরকারি ঘোষিত ফলাফল অনেকাংশ পাল্টে যেতে পারে আগামী কয়েকমাসে।

গ্রামাঞ্চলের কংগ্রেসের শক্তি দেখা গেছে মুর্শিদাবাদ ও মালদায়। আর বিক্ষুব্ধ তৃণমূল যারা নির্দল হয়ে জয়ী তাদের বড় অংশ আবার তৃণমূলেই ফিরতে চলেছেন বলে বিশ্লেষণে উঠে আসছে।